
প্রধান উপদেষ্টা ড. অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস মাঠ প্রশাসনের কর্মকর্তাদের আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন।
রোববার (১৬ ফেব্রুয়ারি) সকালে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ের শাপলা হলে আয়োজিত ডিসি সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এ নির্দেশনা দেন।
আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির গুরুত্ব
অধ্যাপক ইউনূস বলেন,
> “আমরা এমন পরিস্থিতিতে রয়েছি যেখানে শান্তি ও শৃঙ্খলা বজায় রাখা এখন সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। আইন-শৃঙ্খলায় ব্যর্থতা আমাদের সব অর্জনকে ব্যর্থ করে দিতে পারে। তাই, এটি নিশ্চিত করতে সবাইকে একযোগে কাজ করতে হবে।”
তিনি মাঠ প্রশাসনের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তাদের সমন্বয়ের ওপর গুরুত্বারোপ করে বলেন,
> “পুলিশ প্রশাসন ও সিভিল প্রশাসনের কাজ কী, তা সবার জানা আছে। কিন্তু যদি বলা হয়— ‘ওর কারণে আমারটা হয় না’, তাহলে আমরা পার পাবো না। জেলা প্রশাসনের দায়িত্ব একজন কর্মকর্তার ওপর, তিনি সমন্বয় করে কাজ করবেন। যাতে কাজ করতে গিয়ে কোনো অনিশ্চয়তা সৃষ্টি না হয়।”
সংখ্যালঘু ও নাগরিক অধিকার
প্রধান উপদেষ্টা সংখ্যালঘু ও নারী-শিশু সুরক্ষা নিশ্চিত করার ওপর বিশেষ গুরুত্বারোপ করেন। তিনি বলেন,
> “নারী-শিশু ও সংখ্যালঘুদের সুরক্ষা আমাদের বড় দায়িত্ব। সারা বিশ্ব আমাদের দিকে তাকিয়ে আছে। একটি ছোট ঘটনা আন্তর্জাতিকভাবে বড় ইস্যুতে পরিণত হতে পারে। তবে, আমি এটিকে শুধু ভয়ের জায়গা থেকে বলছি না— সরকারের দায়িত্বই হলো প্রতিটি নাগরিকের সুরক্ষা নিশ্চিত করা।”
তিনি আরও বলেন,
> “আমি সংখ্যালঘুদেরও বলেছি— নিজেদের সংখ্যালঘু হিসেবে নয়, দেশের নাগরিক হিসেবে দাবি করুন। সংবিধান আপনাদের যে অধিকার দিয়েছে, তা পেতে হবে। সরকার সেই দায়িত্ব পালনে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।”
প্রশাসনের করণীয়
ডিসি সম্মেলনে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষায় মাঠ প্রশাসনের ভূমিকা আরও সুস্পষ্ট করতে বলা হয়েছে। প্রধান উপদেষ্টা বলেন,
> “শৃঙ্খলা ভঙ্গ হলে কী করতে হবে, চেইন অব কমান্ড কীভাবে কাজ করবে— তা সবার স্পষ্টভাবে জানা উচিত। দায়িত্ব এড়িয়ে গেলে চলবে না। আমরা সবাই মিলে সরকার, তাই একসঙ্গে কাজ করতে হবে।”
সম্মেলনে মাঠ প্রশাসনের কর্মকর্তাদের আইন-শৃঙ্খলা রক্ষায় কার্যকর ভূমিকা রাখার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, “সরকারের টিম হিসেবে আমাদের কাজ হচ্ছে জনগণের সুরক্ষা নিশ্চিত করা— তা যে-ই হোক না কেন।”