
ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা ভূখণ্ডে ধ্বংসস্তূপের ভেতর থেকে আরও ২২ ফিলিস্তিনির লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। এতে গাজায় ইসরায়েলের বর্বর হামলায় মোট নিহতের সংখ্যা প্রায় ৪৮ হাজার ২০০ জনে পৌঁছেছে।
দীর্ঘ ১৫ মাসের বেশি সময় পর গত মাসে গাজায় যুদ্ধবিরতি কার্যকর হয়। তবে এরপর থেকেই ধ্বংসস্তূপের নিচ থেকে একের পর এক লাশ উদ্ধার করা হচ্ছে, ফলে প্রাণহানির সংখ্যা আরও বাড়ছে।
শনিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) বার্তাসংস্থা আনাদোলু এক প্রতিবেদনে জানায়, ফিলিস্তিনি স্বাস্থ্যকর্মী ও উদ্ধারকারীরা গাজার ধ্বংসস্তূপ থেকে আরও ২২ জনের মরদেহ উদ্ধার করেছেন। গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, ২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে ইসরায়েলের গণহত্যামূলক যুদ্ধে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৪৮ হাজার ১৮১ জনে পৌঁছেছে।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, গত ৪৮ ঘণ্টায় ইসরায়েলি হামলায় আরও ৪ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন, যারা এই মৃত্যুর সংখ্যার অন্তর্ভুক্ত। এছাড়া, ৬ জন আহত ব্যক্তিকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে, যার ফলে ইসরায়েলি হামলায় মোট আহত সংখ্যা ১ লাখ ১১ হাজার ৬৩৮ জনে দাঁড়িয়েছে। অনেক মানুষ এখনও ধ্বংসস্তূপের নিচে এবং রাস্তায় পড়ে থাকলেও উদ্ধারকর্মীরা তাদের কাছে পৌঁছাতে পারছেন না।
গাজায় ১৯ জানুয়ারি থেকে যুদ্ধবিরতি কার্যকর হয়েছে। এরপর থেকে ফিলিস্তিনি উদ্ধারকারীরা ৫৭২ জনের মরদেহ উদ্ধার করেছেন।
তিন-পর্যায়ের এই যুদ্ধবিরতি চুক্তির মধ্যে বন্দি বিনিময়, স্থায়ী শান্তি, যুদ্ধবিরতি এবং গাজা থেকে ইসরায়েলি বাহিনী প্রত্যাহারের লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে। যদিও জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদ অবিলম্বে যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানিয়েছে, ইসরায়েল দীর্ঘদিন ধরে গাজায় তার নৃশংস হামলা চালিয়ে গেছে।
ইসরায়েলের হামলায় গাজার ৬০ শতাংশ অবকাঠামো ধ্বংস বা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ইতোমধ্যেই আন্তর্জাতিক বিচার আদালতে (ICJ) ইসরায়েল গণহত্যার অভিযোগে অভিযুক্ত হয়েছে।