
বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য আলী নেওয়াজ মাহমুদ খৈয়ম বলেছেন, “রাষ্ট্র চালাবে জনগণ। জনগণ তাদের মতামতের ভিত্তিতে যাদের প্রতিনিধি নির্বাচিত করবে, তারাই রাষ্ট্র পরিচালনা করবে। সংখ্যাগরিষ্ঠের পছন্দ অনুযায়ী দেশ শাসিত হবে, এটাই প্রথা।”
সোমবার (২৭ জানুয়ারি) দুপুরে রাজবাড়ী জেলার লক্ষিকোল রাজারবাড়ী আল্লা নেওয়াজ খাইরু একাডেমি মাঠে অনুষ্ঠিত তাফসীরুল কুরআন মাহফিলের প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
খৈয়ম অভিযোগ করেন, “সমস্ত নিয়মকে উপেক্ষা করে শেখ হাসিনা ক্ষমতায় থাকতে জোরপূর্বক বহু মানুষের হত্যা, মিথ্যা মামলা, জেল, এবং ফাঁসি দিয়েছে। তিনি বলেন, ‘শেখ হাসিনা সরকার মানুষকে নির্যাতন করে ভোটাধিকার হরণ করেছে এবং জনগণের মত প্রকাশের স্বাধীনতা কেড়ে নিয়ে ক্ষমতায় ছিল।’ তিনি আরো বলেন, ‘ছাত্র জনতার গণঅভ্যুত্থানে শেখ হাসিনা দেশ ছেড়ে পালিয়েছে। এখন বাংলাদেশে নিরপেক্ষ, নির্দলীয় নির্বাচন প্রয়োজন।'”
এছাড়াও, তিনি উল্লেখ করেন যে, তাফসীরুল কুরআন মাহফিলের প্রধান বক্তা মুফতি আমির হামজাকে ওয়াজ মাহফিলে বক্তব্য দেওয়ার কারণে দীর্ঘ সময় কারাবাসে থাকতে হয়েছিল। তিনি বলেন, “গত ১৭ বছরে বাংলাদেশে আলেম-ওলামাদের ওপর ব্যাপক নিপীড়ন চালানো হয়েছে, শাপলা চত্বরে হত্যাযজ্ঞের ঘটনা, এবং আলেমদের উপর অত্যাচার উল্লেখযোগ্য। এসব ঘটনাগুলির বিরুদ্ধে বিএনপি ও জামায়াতে ইসলামীর মত বিভিন্ন রাজনৈতিক দল সংগ্রাম করেছে।”
এছাড়াও, রাজবাড়ী জেলা জামায়াতে ইসলামীর আমির অ্যাডভোকেট নূরুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আল্লা নেওয়াজ খাইরু একাডেমির প্রধান শিক্ষক গাজী আহসান হাবীব, রাজবাড়ী পৌরসভার সাবেক কাউন্সিলর আবদুল্লাহ আল মামুন সম্রাট, জেলা জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি মো. আলিমুজ্জামান, এবং বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী রাজবাড়ী পৌরসভা যুব বিভাগের সভাপতি মো. রাজু আহমেদ।
উল্লেখ্য, তাফসীরুল কুরআন মাহফিলে প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মুফতি আমির হামজা।