১৫ই অক্টোবর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, বুধবার
৩০শে আশ্বিন, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

এশিয়ার সবচেয়ে বড় টিউলিপ বাগান যেখানে

শেয়ার করুন

বিশ্বের অন্যতম সুন্দর ও স্বীকৃত ফুল হলো টিউলিপ। বসন্তের সবচেয়ে মনোমুগ্ধকর ফুলগুলোর মধ্যে এটি শীর্ষে। রংধনুর সব রঙে সজ্জিত এ ফুল সৌন্দর্যপ্রেমীদের হৃদয় সহজেই ছুঁয়ে যায়।

টিউলিপ শব্দের অর্থ ‘নিখুঁত প্রেম’। এই ফুলের প্রতিটি রং ভিন্ন ভিন্ন অর্থ বহন করে। উদাহরণস্বরূপ,

লাল টিউলিপ ভালোবাসার প্রতীক।

বেগুনি টিউলিপ রাজকীয়তার প্রতীক।

সাদা টিউলিপ ক্ষমা বা দক্ষতার বার্তা প্রকাশ করে।

বিশ্বজুড়ে বর্তমানে প্রায় সাড়ে তিন হাজার প্রজাতির টিউলিপ চাষ হয়। ইউরোপ ও এশিয়ার বিভিন্ন অঞ্চলে এ ফুল বাণিজ্যিকভাবে উৎপাদিত হয়।

এশিয়ার সবচেয়ে বড় টিউলিপ বাগান

এশিয়ার বৃহত্তম টিউলিপ বাগান হলো ইন্দিরা গান্ধী মেমোরিয়াল টিউলিপ গার্ডেন, যা ভারতের জম্মু-কাশ্মীর রাজ্যের শ্রীনগরে অবস্থিত। প্রায় ৭৫ একর জায়গাজুড়ে বিস্তৃত এই বাগানটি শ্রীনগরের বিখ্যাত ডাল লেকের পাশে। ২০০৮ সালে তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী গুলাম নবী আজাদের উদ্যোগে প্রতিষ্ঠিত এই বাগানটি প্রথমে ‘সিরাজবাগ’ নামে পরিচিত ছিল। পরে নামকরণ করা হয় ইন্দিরা গান্ধী মেমোরিয়াল টিউলিপ গার্ডেন।

এ বাগানে ৬৮ প্রজাতির প্রায় ১৫ লাখ টিউলিপ ফুটে থাকে। বিশেষ করে এপ্রিল মাসে বাগানটি তার পূর্ণ রূপে সজ্জিত হয়, যা লক্ষাধিক পর্যটককে আকর্ষণ করে। বাগানের দুই পাশজুড়ে লাল, কমলা, হলুদ, গোলাপি, বেগুনি, সাদা, কালোসহ নানা রঙের টিউলিপের দৃষ্টিনন্দন সমাহার দেখা যায়। দর্শনার্থীদের ফুল ছিঁড়তে না দেওয়ার জন্য পুরো বাগান স্বচ্ছ নেট দিয়ে ঘেরা।

প্রতিদিন সকাল ৯টা থেকে সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত বাগানটি দর্শনার্থীদের জন্য উন্মুক্ত থাকে।

বিশ্বের বৃহত্তম টিউলিপ বাগান

বিশ্বের সবচেয়ে বড় টিউলিপ বাগান অবস্থিত নেদারল্যান্ডসের লিসি শহরে। এর নাম কেউকেনহোফ গার্ডেন। এটি ‘ইউরোপের বাগান’ নামেও পরিচিত। ১৯৪৯ সালে দাতব্য সংস্থার তত্ত্বাবধানে এ বাগানটি প্রতিষ্ঠিত হয়।

বাংলাদেশে টিউলিপ চাষ

টিউলিপ ঠান্ডা আবহাওয়া পছন্দ করে, তাই ইউরোপের শীতপ্রধান দেশগুলোতে এটি বেশি জন্মে। তবে এখন বাংলাদেশেও টিউলিপ চাষ শুরু হয়েছে। ঢাকার কাছেই গাজীপুর জেলার শ্রীপুর উপজেলার কেওয়া পূর্ব খণ্ডগ্রামে গড়ে তোলা হয়েছে টিউলিপ বাগান। এ বাগান এখন সৌন্দর্যপিপাসুদের জন্য দারুণ আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দু।

টিউলিপ এখন আর শুধু ইউরোপ বা কাশ্মীর নয়; দেশের মাটিতেও এর সৌন্দর্য উপভোগ করা সম্ভব।

 

শেয়ার করুন