১৮ই অক্টোবর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, শনিবার
২রা কার্তিক, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

শিল্প কারখানা বাংলাদেশে স্থানান্তরের জন্য তুরস্কের প্রতি আহ্বান প্রধান উপদেষ্টার

শেয়ার করুন

বাংলাদেশ-তুরস্ক অর্থনৈতিক ও প্রযুক্তিগত সহযোগিতায় আহ্বান

বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস তুরস্ককে শিল্প কারখানা স্থানান্তর, প্রযুক্তি সহযোগিতা এবং বাংলাদেশের যুবশক্তিকে কাজে লাগানোর আহ্বান জানিয়েছেন। বৃহস্পতিবার ঢাকার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় তুরস্কের বাণিজ্যমন্ত্রী অধ্যাপক ড. ওমের বলাতের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি দলের সঙ্গে বৈঠকে তিনি এই আহ্বান জানান।

যুবশক্তি ও কর্মসংস্থান প্রসঙ্গে আহ্বান

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, “বাংলাদেশ বিশ্বের অষ্টম জনবহুল দেশ। অন্তর্বর্তীকালীন সরকার দেশের তরুণদের কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরিতে কাজ করছে। আমরা আমাদের তরুণদের জন্য তুরস্কের সহায়তা চাই।” তিনি আরও বলেন, “আপনার কারখানা পরিচালনার জন্য আমাদের তরুণদের কাজে লাগান। এতে তুরস্ক এই অঞ্চলে পণ্য সরবরাহের নতুন সম্ভাবনা তৈরি করতে পারে।”

বাংলাদেশ-তুরস্ক সম্পর্কের প্রসার

প্রধান উপদেষ্টা বাংলাদেশের উষ্ণ সম্পর্কের কথা উল্লেখ করে বলেন, “বাংলাদেশ ও তুরস্ক পারস্পরিক সহযোগিতার মাধ্যমে একটি স্বপ্নের সম্পর্ক গড়ে তুলতে পারে। আমরা এই সম্পর্ককে বিভিন্ন ক্ষেত্রে প্রসারিত করতে চাই।”
তিনি তুরস্কের প্রতিনিধিদের উদ্দেশে আরও বলেন, “আমরা প্রযুক্তি, বিনিয়োগ এবং প্রতিরক্ষা শিল্প গড়ে তুলতে আপনার সহযোগিতা চাই। আমাদের অনেক কিছু করার সুযোগ রয়েছে। আসুন একটি নতুন সূচনা করি। আমরা আপনাদের প্রয়োজনের জন্য প্রস্তুত।”

তুরস্কের প্রতিক্রিয়া ও প্রস্তাবনা

তুরস্কের বাণিজ্যমন্ত্রী অধ্যাপক ড. ওমের বলাত বলেন, “বাংলাদেশ ও তুরস্কের অর্থনৈতিক সহযোগিতা পোশাক শিল্পের বাইরে প্রসারিত হতে পারে। আমরা প্রতিরক্ষা শিল্প, স্বাস্থ্যসেবা, ওষুধ এবং কৃষি যন্ত্রপাতির ক্ষেত্রে সহযোগিতা করতে পারি।”
তিনি আরও বলেন, “তুরস্ক ভারতের মতো বড় বাজারগুলোকে প্রতিস্থাপনের ক্ষেত্রে বাংলাদেশকে সহায়তা করতে পারে। এ ছাড়া বাংলাদেশে আমদানি ক্ষেত্রে সহযোগিতা এবং অর্থনৈতিক ও সামাজিক পর্যায়ে সম্পর্ক আরও জোরদার হতে পারে।”

শিক্ষা ও প্রযুক্তিগত সহযোগিতা প্রসার

বাণিজ্যমন্ত্রী দুই দেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মধ্যে পারস্পরিক সহযোগিতা বাড়ানোর গুরুত্বও তুলে ধরেন। তিনি বলেন, “বাংলাদেশ ও তুরস্কের শিক্ষা ও গবেষণার ক্ষেত্রে পারস্পরিক অংশীদারিত্ব ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য সুফল বয়ে আনতে পারে।”

বাংলাদেশ ও তুরস্কের মধ্যে এই বৈঠক নতুন অর্থনৈতিক, প্রযুক্তিগত এবং সামাজিক সম্ভাবনার দ্বার উন্মোচন করতে পারে। দুই দেশের নেতৃত্ব তাদের পারস্পরিক সহযোগিতা জোরদারের মাধ্যমে বিশ্বব্যাপী প্রতিযোগিতার নতুন সুযোগ তৈরিতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।

 

শেয়ার করুন