
জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারপ্রাপ্ত খ্যাতিমান চিত্রনায়িকা অঞ্জনা রহমানের ঘরে ফেরা হলো না। এক সপ্তাহের বেশি সময় ধরে হাসপাতালে চিকিৎসা নেওয়ার পর গত শুক্রবার রাত ১টা ৩৫ মিনিটে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। তবে তার মৃত্যু নিয়ে দেখা দিয়েছে রহস্য।
অভিনেত্রীর শেষ গোসলের সময় তার শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাতের চিহ্ন দেখা গেছে বলে একাধিক সূত্র নিশ্চিত করেছে। এই চিহ্ন নিয়ে সংশ্লিষ্ট মহলে আলোচনা চলছে। পরে তার মরদেহ বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উন্নয়ন করপোরেশনে (বিএফডিসি) নেওয়া হলে, সেখানেও বিষয়টি নিয়ে জল্পনা শুরু হয়।
অঞ্জনা রহমান দীর্ঘদিন ধরে অসুস্থ ছিলেন। ডিসেম্বর থেকে শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। চিকিৎসকদের পরামর্শে বিভিন্ন পরীক্ষায় তার রক্তে সংক্রমণ ধরা পড়ে। অবস্থা অবনতি হলে ১ জানুয়ারি তাকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি করা হয় এবং সেখানেই লাইফ সাপোর্টে রাখা হয়।
অঞ্জনা রহমান তার অনন্য অভিনয়ের জন্য ১৯৮১ সালে গাংচিল এবং ১৯৮৬ সালে পরিণীতা চলচ্চিত্রে শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রী হিসেবে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার অর্জন করেন। এছাড়া তিনি বাচসাস পুরস্কারও পেয়েছেন তিনবার।
১৯৭৬ সালে বাবুল চৌধুরীর সেতু চলচ্চিত্র দিয়ে অভিনয়ে আত্মপ্রকাশ করেন অঞ্জনা। তবে তার প্রথম মুক্তিপ্রাপ্ত চলচ্চিত্র ছিল শামসুদ্দিন টগরের দস্যু বনহুর, যেখানে তার বিপরীতে ছিলেন সোহেল রানা।
অঞ্জনা রহমান প্রায় তিন শতাধিক চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছেন। তার উল্লেখযোগ্য চলচ্চিত্রগুলোর মধ্যে রয়েছে সুখের সংসার, যাদু নগর, নেপালী মেয়ে, রাখে আল্লাহ মারে কে, একই রাস্তা, মাধবীলতা, আশীর্বাদ, রূপসী বাংলা, বাপের বেটা, আনারকলি, টার্গেট, প্রেমের সমাধি প্রভৃতি।