১৮ই অক্টোবর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, শনিবার
২রা কার্তিক, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ভরপুর মাছের বাজারেও দামে অস্বস্তি, স্থিতিশীল গরু-মুরগির মাংস

শেয়ার করুন

মাছ-মাংসের বাজারে অস্থিতিশীলতা, ভোগান্তিতে ক্রেতারা

সপ্তাহের ব্যবধানে গরুর মাংস ও ব্রয়লার মুরগির দাম অপরিবর্তিত থাকলেও মাছের বাজারে অস্থিতিশীলতা লক্ষ্য করা যাচ্ছে। রাজধানীর বিভিন্ন বাজারে মাছের সরবরাহ ভালো থাকলেও দামে কিছুটা ঊর্ধ্বগতি দেখা গেছে। তবুও মাংসের তুলনায় মাছ কিনতে ক্রেতাদের ভিড় বেশি

মাছের বাজারের অবস্থা
শুক্রবার (৩ জানুয়ারি) সকালে রাজধানীর রামপুরা এলাকার একাধিক বাজার ঘুরে দেখা গেছে, মাছের দাম গত সপ্তাহের তুলনায় কিছুটা বেড়েছে। বর্তমানে বাজারে:

গোলসা মাছ: ৭০০ টাকা

পাঙাস মাছ: ২০০-২২০ টাকা

দেশি কৈ: ৮০০ টাকা, চাষের কৈ: ৩৫০ টাকা

শিং মাছ: ৪০০-৪৫০ টাকা

দেশি মাগুর: ৮০০ টাকা

বাইম মাছ: ৮০০ টাকা

রুই মাছ: ৩০০-৩৫০ টাকা

বড় কাতল মাছ: ৪৫০ টাকা, ছোট কাতল মাছ: ৩৫০ টাকা

কার্প মাছ: ২৮০ টাকা

পাবদা মাছ: ৩৬০ টাকা

তেলাপিয়া: ২৩০ টাকা

চিংড়ি মাছ: ৮০০ টাকা

শোল মাছ: ৯০০-১০০০ টাকা

মাংসের বাজারের স্থিতিশীলতা
মুরগি ও গরুর মাংসের দাম গত সপ্তাহের মতোই স্থিতিশীল রয়েছে।

গরুর মাংস: ৭৫০-৭৮০ টাকা

খাসির মাংস: ১০৫০-১২০০ টাকা

ছাগলের মাংস: ১০০০ টাকা

ব্রয়লার মুরগি: ২০০-২২০ টাকা

দেশি মুরগি: ৬৫০-৭০০ টাকা

সোনালি মুরগি: ৩০০-৩২০ টাকা

ক্রেতাদের অভিমত
বাজার করতে আসা নাইম আহমেদ বলেন, “মাছ-মুরগির দাম অনেক বেশি। আগের তুলনায় বাজার খরচ বেড়ে গেছে। টিউশনি করিয়ে খরচ সামাল দিচ্ছি, তবে সবার পক্ষে এটা সম্ভব নয়।”

শফিকুল ইসলাম নামের আরেক ক্রেতা বলেন, “শীতের সময় মাছের দাম কম থাকে বলে শুনি। এবার উল্টো দাম বেড়েছে। পাঙাস মাছ গত সপ্তাহে ১৮০ টাকা ছিল, এখন ২০০ টাকার নিচে পাওয়া যাচ্ছে না।”

বিক্রেতাদের বক্তব্য
মাছ বিক্রেতা মঞ্জিল মিয়া বলেন, “বেশি দামে কিনে এনে কম দামে বিক্রি সম্ভব নয়। ১০-২০ টাকা বেড়েছে ঠিক, তবে এটি স্বাভাবিক। দাম আবার কমেও যেতে পারে।”

মুরগি বিক্রেতা মনসুর আলী জানান, “শীতের কারণে ব্রয়লারের দাম কিছুটা বেড়েছে। শীতে মুরগির রোগবালাই বেশি হয়, ফলে খামারিদের কাছ থেকে বেশি দামে কিনতে হচ্ছে।”

গরুর মাংস বিক্রেতা শান্ত ইসলাম জানান, “গরুর মাংসের দাম প্রায় এক বছর ধরে ৭৫০-৭৮০ টাকার মধ্যেই রয়েছে। এতে ক্রেতারা মোটামুটি সন্তুষ্ট।”

মাছ ও মুরগির দামের ঊর্ধ্বগতিতে ক্রেতারা ক্ষুব্ধ হলেও বিক্রেতারা তাদের পক্ষে যুক্তি তুলে ধরছেন। অন্যদিকে, মাংসের বাজারে স্থিতিশীলতা ক্রেতাদের কিছুটা স্বস্তি দিচ্ছে। তবে দ্রব্যমূল্যের এই অস্থিরতা সামলাতে বাজার তদারকি আরও বাড়ানোর প্রয়োজন বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

 

শেয়ার করুন