
সদ্য বিদায়ী ২০২৪ সালের ডিসেম্বরে বাংলাদেশের রপ্তানি আয়ে উল্লেখযোগ্য প্রবৃদ্ধি হয়েছে। রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) হালনাগাদ প্রতিবেদনে দেখা গেছে, ডিসেম্বরে রপ্তানি আয় ১৭ দশমিক ৭২ শতাংশ বেড়েছে, যা ২০২৩ সালের ডিসেম্বরে ছিল ৩৯৩ কোটি ৯ লাখ ডলার। তৈরি পোশাক খাত থেকে সবচেয়ে বেশি রপ্তানি আয় হয়েছে, যা ১৭ দশমিক ৪৫ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩৭৭ কোটি ৫ লাখ ডলারে।
অন্যান্য খাতের রপ্তানি প্রবৃদ্ধি
কৃষি পণ্য: ১৪ দশমিক ৪১ শতাংশ বেড়ে ১০ কোটি ১ লাখ ডলার।
চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য: ২৪ দশমিক ১৯ শতাংশ বেড়ে ১১ কোটি ৯ লাখ ডলার।
হোম টেক্সটাইল: ২০ দশমিক ৪৭ শতাংশ বেড়ে ৮ কোটি ৩৯ লাখ ডলার।
প্লাস্টিক পণ্য: ২৯ দশমিক ৭২ শতাংশ বেড়ে ১৫৮ মিলিয়ন ডলার।
ফার্মাসিউটিক্যাল পণ্য: ১২ দশমিক ১১ শতাংশ বেড়ে ১১৪ দশমিক ৪২ মিলিয়ন ডলার।
কৃত্রিম চামড়ার পাদুকা: ৩৯ দশমিক ১০ শতাংশ বেড়ে ২৭৪ মিলিয়ন ডলার।
অর্থবছরের সার্বিক চিত্র
২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রথমার্ধে (জুলাই-ডিসেম্বর) বাংলাদেশ থেকে ২,৪৫৩ কোটি ৩৫ লাখ ডলারের পণ্য রপ্তানি হয়েছে, যা আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় ১২ দশমিক ৮৪ শতাংশ বেশি।
বিশেষজ্ঞদের মতামত
স্নোটেক্স গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এস এম খালেদ জানান, বৈশ্বিক ক্রেতারা চীন ও মিয়ানমার থেকে তাদের ক্রয় কার্যক্রম স্থানান্তর করে বাংলাদেশকে সোর্সিং হাব হিসেবে বেছে নিচ্ছেন। ফলে রপ্তানি আয় বৃদ্ধি পাচ্ছে। তবে তিনি আশঙ্কা প্রকাশ করেন যে, নতুন মজুরি কাঠামোর কার্যকারিতা উৎপাদন খরচ বাড়িয়ে প্রবৃদ্ধিতে চাপ ফেলতে পারে।
বিকেএমইএর নির্বাহী সভাপতি ফজলে শামীম এহসান বলেন, বৈশ্বিক উৎসবগুলোতে পোশাকপণ্যের চাহিদা বৃদ্ধি রপ্তানির ইতিবাচক প্রভাব ফেলেছে। তবে এই সুযোগ কাজে লাগাতে দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নয়ন জরুরি।
সামগ্রিকভাবে, বাংলাদেশের রপ্তানি খাত বৈশ্বিক পরিবর্তনের সুযোগ গ্রহণ করতে সক্ষম হয়েছে এবং এটি দেশের অর্থনীতির জন্য ইতিবাচক ইঙ্গিত বহন করে।