১৯শে অক্টোবর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, রবিবার
৩রা কার্তিক, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

বৈদেশিক ঋণ বেড়ে দাড়িয়েছে ৫৬৮ কোটি ডলারে

শেয়ার করুন

বাংলাদেশ ব্যাংকের সর্বশেষ প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুযায়ী, দেশের বৈদেশিক ঋণের পরিমাণ বেড়েছে। জুন মাসের হিসাবে দেশের মোট বৈদেশিক ঋণ দাঁড়িয়েছে ১০ হাজার ৩৭৯ কোটি ডলারে। এর মধ্যে সরকারি খাতে ৮ হাজার ৩২১ কোটি ডলার এবং বেসরকারি খাতে ২ হাজার ৫৭ কোটি ডলার। গত বছরের জুনে এই পরিমাণ ছিল ৯ হাজার ৮১১ কোটি ডলার। অর্থাৎ গত এক বছরে দেশের মোট বৈদেশিক ঋণ বেড়েছে ৫৬৮ কোটি ডলার বা ৫ দশমিক ৮ শতাংশ।

ঋণের ধরন:
* দীর্ঘমেয়াদি ঋণ: দীর্ঘমেয়াদি ঋণ বেড়েছে ৯ দশমিক ২ শতাংশ। মোট ঋণের ৮০ দশমিক ২ শতাংশ সরকারি খাতে এবং ১৯ দশমিক ৮ শতাংশ বেসরকারি খাতে।
* স্বল্পমেয়াদি ঋণ: স্বল্পমেয়াদি ঋণ কমেছে ১১ দশমিক ৫ শতাংশ। সরকারি খাতে স্বল্পমেয়াদি ঋণ কম, দীর্ঘমেয়াদি ঋণ বেশি। এটিকে ইতিবাচক হিসাবে দেখা হয়। বেসরকারি খাতে স্বল্পমেয়াদি ঋণ বেশি এবং দীর্ঘমেয়াদি ঋণ কম। এটিকে নেতিবাচক হিসাবে দেখা হয়।

ঋণের উৎস:
সবচেয়ে বেশি ঋণ নেওয়া হয়েছে চীন থেকে, এরপর যুক্তরাজ্য, নেদারল্যান্ডস, হংকং, সিঙ্গাপুর, জার্মানি ইত্যাদি দেশ থেকে।
ঋণের ব্যবহার:
সবচেয়ে বেশি ঋণ নেওয়া হয়েছে জ্বালানি ও বিদ্যুৎ খাতে, উৎপাদন খাতে এবং বাণিজ্য খাতে।

ঋণ পরিশোধ:
দীর্ঘমেয়াদি ঋণ পরিশোধ কিছুটা বেড়েছে। তবে স্বল্পমেয়াদি ঋণ পরিশোধ কিছুটা কমেছে।
ঝুঁকি:
* বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভের বিপরীতে মোট বৈদেশিক ঋণের অনুপাত: গত এক বছরে এই অনুপাত কমেছে, যা ইতিবাচক সংকেত।
* জিডিপির বিপরীতে বৈদেশিক ঋণের অনুপাত: এই অনুপাত বেড়েছে, তবে এখনো ঝুঁকিমুক্ত পর্যায়ে রয়েছে।
সরাসরি বৈদেশিক বিনিয়োগ (এফডিআই):
* গত তিন অর্থবছর ধরে দেশে সরাসরি বৈদেশিক বিনিয়োগ কমছে।
* সবচেয়ে বেশি বিদেশি বিনিয়োগ এসেছে যুক্তরাজ্য, সিঙ্গাপুর, কোরিয়া, চীন, নেদারল্যান্ডস ইত্যাদি দেশ থেকে।
* বাংলাদেশ থেকে বৈধভাবে বিদেশে পুঁজি যাওয়ার প্রবণতাও কমেছে।

বিঃদ্রঃ: এই তথ্য বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুযায়ী।

শেয়ার করুন