
বস্তায় আদা চাষে সফল উদাহরণ স্থাপন করেছেন রুস্তম আলী।তিনি জয়পুরহাট সদর উপজেলার ভাদসা ইউনিয়নের প্রত্যন্ত এলাকা বড় মাঝিপাড়া গ্রামের আকবর আলীর ছেলে। রুস্তম আলী প্রত্যন্ত বরো মজিপাড়া গ্রামে আদা ব্যাগে চাষ করে এলাকায় অনুকরণীয় দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন।
তিনি পেঁপে চাষের সাথে আন্ত:ফসল হিসেবে আদা চাষ করেছেন। পেঁপে ক্ষেতের মধ্যে ১,০০০ ব্যাগ আদা স্থাপন করেছেন। রুস্তম আলী বলেন, তিনি ব্যাগ ভিত্তিক আদা চাষে ৪৪,০০০ টাকা ব্যয় করেছেন। প্রতি ব্যাগে আদার উৎপাদন দাঁড়ায় এক কেজি আদা এবং প্রতি কেজি আদা বিক্রি হচ্ছে ২,০০০ টাকায়। তিনি মোট বিক্রির আশা করছেন ২ লাখ টাকার।
তার এই খামারকে সহযোগিতা করেছে পল্লী কর্ম সহায়ক ফাউন্ডেশন (পিকেএসএফ) এবং প্রযুক্তিগত সহায়তা প্রদান করেছে একটি এনজিও, জ্যাকস ফাউন্ডেশন।
এনজিওর কৃষি কর্মকর্তা শাহাদাত হোসেন শাহীন বলেছেন, কৃষকদের জন্য পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে যাতে তারা বাড়ির আশেপাশে পতিত জমিতে চাষ করতে পারেন।
ব্যাগ ভিত্তিক আদা চাষ করে রুস্তম আলী একটি উদাহরণ স্থাপন করেছেন, তিনি যোগ করেন। জাকস ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক মোঃ নূরুল আমিন বলেন, বর্তমান অন্তবর্তী সরকার কৃষক ও কৃষিকে গুরুত্ব দিয়েছেন।
কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগের (ডিএই) উপ-পরিচালক রাহেলা পারভীন বলেন, ব্যাগে আদা চাষ করতে কোনো জমির প্রয়োজন নেই; এটি বাড়িতে করা যায়; এ ধরনের আদা চাষ বন্যা ও ভারী বৃষ্টির ক্ষতির কবলে পড়ে না এবং চাষের খরচ তুলনামূলকভাবে কম।
এই পদ্ধতিতে ছায়াযুক্ত স্থানে আদা উৎপাদন করা যায়। সাধারণত বাঁশের ঝোপের নিচে কোনো ফসল চাষ করা হয় না; তাই বাঁশের ঝোপের নিচে স্থানগুলি আদা চাষের জন্য ব্যবহার করা যেতে পারে।
যেহেতু চাষের খরচ এবং পোকামাকড়ের আক্রমণ কম, তাই এই পদ্ধতিতে আদা চাষ করে অধিক লাভ পাওয়া সম্ভব, বলেন ডিএই কর্মকর্তা রাহেলা পারভীন।
তিনি জানান, সরকারসহ বিভিন্ন এনজিও মাঠ পর্যায়ে কৃষকদের আদা সহ-চাষ গ্রহণের জন্য উৎসাহিত করছে।