
গুম-খুনসহ মানবতাবিরোধী অপরাধের দুই পৃথক মামলায় ১৩ সেনা কর্মকর্তাকে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হয়েছে। রোববার (২৩ নভেম্বর) সকাল ১০টার দিকে ঢাকার ক্যান্টনমেন্টের বিশেষ কারাগার থেকে কড়া নিরাপত্তায় প্রিজন ভ্যানে করে তাদের ট্রাইব্যুনালে আনা হয়।
ট্রাইব্যুনাল-১ এর চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বে তিন সদস্যের বেঞ্চ আজ শুনানি ও আদেশ দেবেন। প্যানেলে আরও রয়েছেন বিচারপতি মো. শফিউল আলম মাহমুদ ও অবসরপ্রাপ্ত জেলা ও দায়রা জজ মোহিতুল হক এনাম চৌধুরী।
আজকের শুনানি নির্ধারিত ছিল ক্ষমতাচ্যুত শেখ হাসিনা, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালসহ সাবেক ও বর্তমান সেনা কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া পৃথক দুই মামলার বিষয়ে। গ্রেপ্তার হয়ে কারাগারে থাকা আসামিদের আজ সশরীরে আদালতে হাজির করা হয়।
এক মামলায় র্যাবের টিএফআই সেলের গোপন স্থানে আটক রেখে নির্যাতনের অভিযোগে শেখ হাসিনাসহ ১৭ জনকে আসামি করা হয়েছে। অন্য মামলায় জয়েন্ট ইন্টারোগেশন সেল (জেআইসি) বা আয়নাঘরে গুম–এ ধরনের মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে ১৩ জনকে আসামি করা হয়েছে, যেখানে শেখ হাসিনা ও তারিক আহমেদ সিদ্দিকের নামও রয়েছে।
এর আগে, গত ২৬ অক্টোবর ট্রাইব্যুনাল এই দুই মামলার পরবর্তী শুনানির তারিখ হিসেবে ২৩ নভেম্বর নির্ধারণ করে।
এদিকে আজ সকাল থেকেই ট্রাইব্যুনাল ও সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। পুলিশ, র্যাব ও বিজিবির সদস্যরা মোতায়েন রয়েছেন এবং যেকোনো পরিস্থিতি মোকাবিলায় প্রস্তুত বলে জানিয়েছে দায়িত্বশীলরা।
গত ৮ অক্টোবর পৃথক দুই মামলায় মোট ৩০ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দাখিল করে প্রসিকিউশন। অভিযোগ আমলে নিয়ে ট্রাইব্যুনাল গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে। দুই মামলার আসামিদের মধ্যে ১০ সেনা কর্মকর্তা গ্রেপ্তার অবস্থায় আছেন, বাকিরা পলাতক।
জেআইসি-সংক্রান্ত মামলায় ১৩ আসামির মধ্যে তিনজন কারাগারে থাকলেও বাকি আসামিরা এখনও পলাতক।