১লা ডিসেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, সোমবার
১৬ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

শেখ হাসিনার মামলার রায় পড়া শুরু আন্তর্জাতিক ট্রাইব্যুনালে

শেয়ার করুন

সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধ মামলার রায় সোমবার (১৭ নভেম্বর) আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে পড়া শুরু হয়েছে।

বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বে তিন সদস্যের ট্রাইব্যুনাল-১ রায় ঘোষণা করছেন। প্যানেলের অন্য দুই সদস্য হলেন বিচারপতি মো. শফিউল আলম মাহমুদ ও বিচারপতি মো. মোহিতুল হক এনাম চৌধুরী।

মামলায় পলাতক রয়েছেন শেখ হাসিনা ও সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল। সকালেই সাবেক আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুনকে প্রিজনভ্যানে করে কড়া নিরাপত্তায় ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হয়।

রায়কে ঘিরে ট্রাইব্যুনাল ও সুপ্রিম কোর্ট এলাকায় নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। পুলিশ, র‌্যাব, এপিবিএন, বিজিবি ও সেনাবাহিনীর পাশাপাশি গোয়েন্দা সংস্থার সদস্যরাও মোতায়েন রয়েছেন। রোববার সন্ধ্যার পর থেকে দোয়েল চত্বর থেকে শিক্ষাভবনমুখী সড়ক পর্যন্ত যান চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছে। জনসাধারণের চলাচলও সীমিত করা হয়েছে।

গত ১৩ নভেম্বর রায় ঘোষণার জন্য দিন ধার্য করা হয়। মামলায় মোট ২৮ কার্যদিবসে ৫৪ জন সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ সম্পন্ন হয়েছে এবং ৯ কার্যদিনে প্রসিকিউশন ও স্টেট ডিফেন্সের যুক্তিতর্ক উপস্থাপন করা হয়েছে। ২৩ অক্টোবর অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান ও চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম এবং রাষ্ট্রনিযুক্ত আইনজীবী আমির হোসেনের যুক্তিখণ্ডন শেষে রায়ের তারিখ নির্ধারণ করা হয়।

প্রসিকিউশন শেখ হাসিনা ও কামালের সর্বোচ্চ সাজা দাবি করলেও, রাজসাক্ষী হওয়ায় চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুনের বিষয়ে ট্রাইব্যুনালের সিদ্ধান্তের ওপর ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। মামলায় তিন আসামির বিরুদ্ধে পাঁচটি মানবতাবিরোধী অভিযোগ আনা হয়েছে—উসকানি, মারণাস্ত্র ব্যবহার, আবু সাঈদ হত্যা, চানখাঁরপুলে হত্যা এবং আশুলিয়ায় লাশ পোড়ানো। আনুষ্ঠানিক অভিযোগপত্রের পৃষ্ঠা সংখ্যা ৮ হাজার ৭৪৭, যার মধ্যে তথ্যসূত্র ২ হাজার ১৮ পৃষ্ঠা, জব্দতালিকা ও দালিলিক প্রমাণাদি ৪ হাজার ৫ পৃষ্ঠা এবং শহীদদের তালিকা ২ হাজার ৭২৪ পৃষ্ঠা। সাক্ষী করা হয়েছে ৮৪ জনকে। গত ১২ মে চিফ প্রসিকিউটরের কাছে তদন্ত সংস্থা প্রতিবেদন জমা দেয়।

সিএনআই/২৫

শেয়ার করুন