১লা ডিসেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, সোমবার
১৬ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

নির্বাচনের পর বিনিয়োগ বাড়াবে রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা

শেয়ার করুন
Financial Income Economic Diagram Money Concept

ব্যবসায়ী, উদ্যোক্তা ও অর্থনীতিবিদরা মনে করছেন, দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নের জন্য রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা অপরিহার্য। আগামী নির্বাচিত সরকার দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা ও বিনিয়োগবান্ধব পরিবেশ নিশ্চিত করলে দেশি ও বিদেশি বিনিয়োগ বৃদ্ধি পাবে।

বিশ্লেষকরা বলছেন, একটি পাঁচ বছরব্যাপী কর্মপরিকল্পনা (Five-Year Action Plan) থাকলে বিনিয়োগকারীরা জানতে পারবেন, কোন খাতে সরকার গুরুত্ব দিচ্ছে এবং নীতির ধারাবাহিকতা বজায় থাকবে। এর ফলে উদ্যোক্তারা বিনিয়োগে আস্থা পাবেন।

সিপিডির ফেলো ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য, প্রগতিশীল ব্যবসায়ী পরিষদের সভাপতি প্রার্থী শওকত আজিজ রাসেল এবং সহ-সভাপতি প্রার্থী সাকিফ শামীম বলেন, রাজনৈতিক অস্থিরতা ব্যবসায়িক আস্থা কমিয়ে দেয়, উৎপাদন ব্যাহত হয় এবং দেশের আন্তর্জাতিক ভাবমূর্তি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। তারা সবাই রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা ও সহনশীল, ব্যবসাবান্ধব পরিবেশ নিশ্চিত করার ওপর জোর দেন।

ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য বলেন, “সংস্কার একটি ধারাবাহিক প্রক্রিয়া। নির্বাচনী ইশতেহারে প্রতিশ্রুতিগুলো স্থান পেলে নতুন সরকার তা বাস্তবায়ন করবে। এভাবে দেশের অর্থনীতি মধ্যম মেয়াদি আয়ের দিকে এগোবে।”

শওকত আজিজ রাসেল বলেন, “নির্বাচন দিয়ে অর্থনীতি ও উদ্যোক্তাদের মুক্তি দিতে হবে। স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উত্তরণের জন্য গুরুত্বপূর্ণ সংস্কারগুলো নির্বাচিত সরকারের হাতে থাকা উচিত। বিনিয়োগকারীরা নিরাপদ, পূর্বানুমেয় পরিবেশে কাজ করতে চাই। রাজনৈতিক অস্থিরতায় বিনিয়োগ হ্রাস পায়।”

প্রগতিশীল ব্যবসায়ী পরিষদের সহ-সভাপতি প্রার্থী সাকিফ শামীম আরও বলেন, বিদেশি বিনিয়োগের জন্য বাংলাদেশ সম্ভাবনাময় বাজার হলেও অভ্যন্তরীণ শৃঙ্খলার অভাব, নীতির ধারাবাহিকতার অভাব ও প্রশাসনিক জটিলতা বড় বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে। নির্বাচিত সরকার ক্ষমতায় এলে ব্যবসায়িক পরিবেশ স্বচ্ছ, স্থিতিশীল ও নিরাপদ হবে। এতে দেশি-বিদেশি বিনিয়োগ বৃদ্ধি পাবে, শিল্প ও কর্মসংস্থান বৃদ্ধি পাবে এবং অর্থনীতিতে গতি আসবে।

বিশেষ করে নির্বাচন পরবর্তী সময়ে রাজনৈতিক স্থিতিশীলতার কারণে উদ্যোক্তারা বিনিয়োগে আস্থা ফিরে পাবেন। এর ফলে দেশি-বিদেশি বিনিয়োগ বৃদ্ধি পেয়ে দেশের অর্থনীতি নতুন দিগন্তে প্রবেশ করবে।

সিএনআই/২৫

শেয়ার করুন