
মৃত্যু মানুষের জীবনের অনিবার্য সত্য। পৃথিবীতে জন্ম নিলেই একদিন মৃত্যু অনিবার্য। আল কোরআনে রাব্বুল আলামিন ইরশাদ করেন, “প্রত্যেক প্রাণীকেই মৃত্যুর স্বাদ গ্রহণ করতে হবে এবং তোমরা নিজ নিজ কাজের প্রতিফল কিয়ামতের দিন পাবেন।” (সুরা আলে ইমরান: ১৮৫, সুরা আনকাবুত: ৫৭)
মানুষের জন্য দুনিয়ার সুখ-দুঃখ, আশা-হতাশা সবই সাময়িক। মৃত্যুর পর প্রত্যেকের চিরস্থায়ী আবাসস্থল প্রকাশিত হয়। হাদিসে এসেছে, রাসুল (সা.) বলেছেন, মারা যাওয়ার পর মৃত ব্যক্তির সামনে তার মূল বাসস্থানকে দেখানো হবে—যদি জান্নাতি হয়, জান্নাতের স্থান; যদি জাহান্নামি হয়, জাহান্নামের স্থান। এরপর কিয়ামতের দিন আল্লাহ তায়ালা তাকে উত্থিত করবেন। (তিরমিজি: ১০৭২)
মৃত্যুর পরও তিন ধরনের আমলের সওয়াব চলতে থাকে। রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, যখন মানুষ মারা যায় তখন তিন প্রকার আমল ব্যতীত সব আমল বন্ধ হয়ে যায়। এই তিনটি আমল হলো:
-
সদকায়ে জারিয়া: এমন দান বা অনুদান, যার সওয়াব চলমান থাকে, যেমন মসজিদ বা সড়ক নির্মাণ, গাছ লাগানো। দানকারীর মৃত্যু হলেও সওয়াব অব্যাহত থাকে।
-
এমন ইলম যা মানুষ উপকৃত হয়: বই আকারে লেখা জ্ঞান বা শিক্ষার কাজ, যা পড়ে মানুষ উপকৃত হয়। এর ধারাবাহিকতা থাকলে মৃত্যুর পরও সওয়াব অব্যাহত থাকে।
-
নেক সন্তান: এমন সন্তান, যে তার বাবা-মায়ের মৃত্যুর পরও নিয়মিত দোয়া করে। এই দোয়ার বরকত ও সওয়াব তার আমলনামায় যোগ হয়।
ইসলামী স্কলাররা বলেন, মৃত্যুর আগে এই তিনটি বিষয়ে বিশেষ নজর দেওয়া বুদ্ধিমানের কাজ।
সিএনআই/২৫