১লা ডিসেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, সোমবার
১৬ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

বিমানবন্দরে ২০০ কোটি টাকার ওষুধের কাঁচামাল পুড়েছে

শেয়ার করুন

ঢাকার হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে কার্গো ভিলেজের আগুনে অন্তত ২০০ কোটি টাকার ওষুধের কাঁচামাল পুড়ে গেছে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ ওষুধশিল্প সমিতি (বাপি)।

সোমবার (২০ অক্টোবর) রাজধানীর সোনারগাঁও হোটেলে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন বাংলাদেশ ওষুধশিল্প সমিতির মহাসচিব ডা. মো. জাকির হোসেন।

ওষুধশিল্প সমিতির মহাসচিব বলেন, বাংলাদেশে ৩০৭টি ওষুধ কোম্পানির মধ্যে ২৫০টি কোম্পানি সচল আছে। আজকে বেলা ১১টা পর্যন্ত শীর্ষস্থানীয় ৩২টি কোম্পানি জানিয়েছে, তাদের ২০০ কোটি টাকার বেশি কাঁচামাল পুড়ে গেছে। বাকি কোম্পানিগুলো হিসাব দিলে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ আরও বাড়বে।

ডা. জাকির হোসেন বলেন, সুনির্দিষ্টভাবে কত টাকার ক্ষতি হয়েছে, সেটা আমরা সব কোম্পানির কাছ থেকে জেনে আরও বিস্তারিত জানাতে পারব। তবে এতে যে ওষুধশিল্প খাতের একটি বড় অর্থনৈতিক ঝুঁকি তৈরি হয়েছে সেটি ঠিক।

সংবাদ সম্মেলনে এক প্রশ্নের জবাবে জাকির হোসেন বলেন, একেকটি ওষুধ উৎপাদনে ১০-১২টি থেকে ৫৩টি উপকরণের প্রয়োজন হয়। ফলে ২০০ কোটি টাকার কাঁচামাল পুড়ে যাওয়ার কারণে তিন থেকে পাঁচ হাজার কোটি টাকার ওষুধের উৎপাদন ব্যাহত হতে পারে। তবে সরবরাহে এখনই সমস্যা হবে না।

শনিবার আগুনের সময় অনেক বিমান চট্টগ্রাম বিমানবন্দরে পাঠিয়ে দেওয়া হয় জানিয়ে ডা. জাকির বলেন, সেসব বিমানে কাঁচামাল সংরক্ষণের ব্যবস্থা না থাকায় কাঁচামাল শেষ পর্যন্ত ঠিকঠাক থাকবে কি-না, তা নিয়ে শঙ্কা রয়েছে।

এ সময় অন্যান্য দেশের মতো বিমানবন্দরের পণ্য খালাস কার্যক্রম ৩৬৫ দিন চালু রাখারও দাবি জানান ওষুধশিল্প সমিতির মহাসচিব।

কার্গো ভিলেজের আগুনে ক্ষয়ক্ষতি নিয়ে এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ইএবি) এই সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন সংগঠনের সভাপতি মোহাম্মদ হাতেম।

তিনি বলেন, আগুনে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে ১২ হাজার কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে। কার্গো ভিলেজের মতো গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনায় আগুন শনাক্ত ও প্রতিরোধ ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে কর্তৃপক্ষ চরম ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছে।

এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের সংবাদ সম্মেলনে সংগঠনের নেতারা উপস্থিত ছিলেন

শেয়ার করুন