১৭ই অক্টোবর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, শুক্রবার
১লা কার্তিক, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

মেট্রোরেলের স্থায়ী কার্ড সংকট কাটতে আরও কয়েক মাস লাগবে

শেয়ার করুন

ঢাকার মেট্রোরেলের স্থায়ী কার্ড বা স্মার্টকার্ড সংকট কাটতে এখনও কয়েক মাস সময় লাগতে পারে। প্রায় এক বছর ধরে এমআরটি পাস ও র‍্যাপিড পাস উভয় কার্ডের সরবরাহে ঘাটতি দেখা দিয়েছে। ফলে নিয়মিত যাত্রীরা প্রতিদিনই একক যাত্রার টিকিট কিনে দীর্ঘ লাইনে দাঁড়িয়ে ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন।

দক্ষিণখানের বাসিন্দা হেলেনা জাহিদ গত এক মাস ধরে একটি স্থায়ী কার্ড কেনার চেষ্টা করেও ব্যর্থ হয়েছেন। তিনি বলেন, প্রতিদিন যাতায়াত করতে গিয়ে লাইনে দাঁড়িয়ে টিকিট কেনা কষ্টকর ও সময়সাপেক্ষ হয়ে উঠেছে।

ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেড (ডিএমটিসিএল) এবং ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ)—দুটি সংস্থার মধ্যে কার্ড ব্যবস্থাপনা নিয়ে টানাপোড়েনের কারণেই সংকট তৈরি হয়েছে। উভয় সংস্থাই সড়ক পরিবহন মন্ত্রণালয়ের অধীনে থাকলেও, কার্ড নিয়ন্ত্রণ কার হাতে থাকবে, তা নিয়ে দ্বন্দ্ব চলেছে গত এক বছর।

ডিএমটিসিএলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ফারুক আহমেদ বলেন, “ডিটিসিএ আমাদের ৫০ হাজার র‍্যাপিড পাস দিয়েছে, আরও দেবে। এছাড়া আমরা নতুন করে এক লাখ এমআরটি কার্ড কেনার দরপত্র আহ্বান করছি।” তবে তিনি স্বীকার করেন, দরপত্র প্রক্রিয়া ও সরবরাহ মিলিয়ে তিন থেকে ছয় মাস সময় লাগতে পারে।

অন্যদিকে ডিটিসিএ কর্মকর্তারা জানান, সর্বশেষ ৭ অক্টোবরের মধ্যে আড়াই লাখ কার্ড সরবরাহের কথা থাকলেও পাওয়া গেছে মাত্র এক লাখ, যার অর্ধেকই ইতিমধ্যে বিক্রি হয়ে গেছে। ফলে নতুন কার্ড না এলে আগামী মাসেই আবার সংকট দেখা দিতে পারে।

এদিকে, যাদের পুরোনো কার্ড হারিয়ে গেছে বা নষ্ট হয়েছে, তারাও বিপাকে ছিলেন। কারণ, কার্ডে অব্যবহৃত টাকা ফেরত পাওয়া যাচ্ছিল না। তবে সম্প্রতি ডিটিসিএ গোপন কোডটি ডিএমটিসিএলকে দেওয়ায় এখন অব্যবহৃত টাকা নতুন র‍্যাপিড পাসে স্থানান্তর করা যাচ্ছে

মেট্রোরেল প্রতিদিন গড়ে প্রায় চার লাখ যাত্রী পরিবহন করছে। ফলে স্থায়ী কার্ডের সংকট যত দ্রুত না কাটবে, ততদিন যাত্রীদের ভোগান্তিও চলবে।

সিএনআই/২৫

শেয়ার করুন