১৫ই অক্টোবর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, বুধবার
৩০শে আশ্বিন, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ভাইরাল ছবি নিয়ে ট্রুডো-কেটি পেরি আলোচনায়

শেয়ার করুন

কানাডার সাবেক প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো ও মার্কিন গায়িকা কেটি পেরিকে নিয়ে সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নতুন এক আলোচনার জন্ম দিয়েছে কিছু ভাইরাল ছবি। ক্যালিফোর্নিয়ার সান্তা বারবারা উপকূলে একটি ইয়টে তোলা বলে দাবি করা ওই ছবিগুলো অনলাইনে ছড়িয়ে পড়ার পর বিষয়টি নিয়ে ব্যাপক বিতর্ক শুরু হয়।

ছবিগুলোর সত্যতা বা প্রেক্ষাপট সম্পর্কে সংশ্লিষ্ট কারও পক্ষ থেকেই কোনো আনুষ্ঠানিক মন্তব্য পাওয়া যায়নি। তবুও, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অনেকেই বিষয়টি নিয়ে মতামত দিচ্ছেন — কেউ একে ‘ব্যক্তিগত মুহূর্তের অনধিকারচর্চা’ বলছেন, আবার কেউ বলছেন ‘জনপ্রতিনিধি ও তারকা হিসেবে জনদৃষ্টি এড়ানো কঠিন’।

মিডিয়া বিশ্লেষকদের মতে, এমন ঘটনা আমাদের মনে করিয়ে দেয়—জনপ্রিয় ব্যক্তিদের ব্যক্তিগত জীবনও অনেক সময় জনআলোচনার অংশ হয়ে যায়, যা তাদের গোপনীয়তার সীমারেখাকে প্রশ্নবিদ্ধ করে। কানাডার সংবাদমাধ্যমগুলোও সংবাদ প্রকাশে সতর্ক অবস্থান নিয়েছে, কারণ তারা কোনো অনুমোদনবিহীন ব্যক্তিগত ছবি প্রকাশ না করার নীতি অনুসরণ করে থাকে।

এই বিতর্কের সূত্রপাত হয় তখন, যখন কয়েকটি বিদেশি ট্যাবলয়েড ওয়েবসাইটে “একসঙ্গে দেখা” সম্পর্কিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। সেখানে ট্রুডো ও কেটি পেরির একান্ত সময় কাটানোর দাবি করা হলেও, অধিকাংশ নির্ভরযোগ্য সংবাদমাধ্যম এখনো সে তথ্য যাচাই করতে পারেনি। ফলে ঘটনাটি এখনো অনুমান ও গুজবের পর্যায়েই রয়েছে।

একই সঙ্গে অনেকে প্রশ্ন তুলছেন, সংবাদমাধ্যম কতদূর পর্যন্ত কোনো ব্যক্তির ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে প্রতিবেদন করতে পারে। মিডিয়া নীতিবিদদের মতে, “জনস্বার্থ” আর “জনরুচি”—এই দুইয়ের মধ্যে পার্থক্য বোঝা জরুরি। ব্যক্তিগত সম্পর্ক, যদি তা জনজীবনের সিদ্ধান্ত বা নীতিতে প্রভাব না ফেলে, তবে তা সংবাদ নয়—বরং ব্যক্তিগত পরিসরের বিষয়।

এদিকে, কেটি পেরি ও জাস্টিন ট্রুডো—দুজনই অতীতে তাদের পারিবারিক জীবন নিয়ে সংবাদে এসেছেন। কেটি পেরি ২০২৫ সালের জুনে অভিনেতা অরল্যান্ডো ব্লুমের সঙ্গে সম্পর্ক বিচ্ছেদ করেন, আর ট্রুডো ২০২৩ সালে স্ত্রী সোফির সঙ্গে আলাদা হওয়ার ঘোষণা দেন। এই প্রেক্ষাপটে তাদের বন্ধুত্ব বা ব্যক্তিগত যোগাযোগ নিয়ে নতুন করে আগ্রহ তৈরি হওয়াটা স্বাভাবিক বলেই মনে করছেন অনেক বিশ্লেষক।

তবে অনেক সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহারকারী সতর্ক বার্তা দিচ্ছেন—যাচাই না করা তথ্য প্রচার করা উচিত নয়। “আমরা ভুলে যাই, তারা মানুষ—তাদেরও ব্যক্তিগত পরিসর আছে,” মন্তব্য করেন এক ব্যবহারকারী।

সর্বশেষ খবর অনুযায়ী, ট্রুডো বা কেটি পেরির পক্ষ থেকে কোনো আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া জানানো হয়নি। অনলাইন প্ল্যাটফর্মগুলোতে এখন বিতর্কটি মূলত নৈতিক প্রশ্নে কেন্দ্রীভূত—তারকাদের ব্যক্তিগত জীবন কতটা জনসমক্ষে আসা উচিত, আর সাংবাদিকতার স্বাধীনতার সীমা কোথায় শেষ হয়।

শেয়ার করুন