১৬ই অক্টোবর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, বৃহস্পতিবার
৩১শে আশ্বিন, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

নোয়াখালী সোনাইমুড়ী ইসলামী বাংক গ্রাহক ফোরামের উদ্যোগে মানববন্ধন কর্মসূচি

শেয়ার করুন

সোনাইমুড়ী’সহ সারা বাংলাদেশে এস আলম গ্রুপের অবৈধভাবে নিয়োগকৃত দের ছাঁটাই করে,বৈধ নিয়োগ দেওয়ার দাবিতে সারা বাংলাদেশ সহ এরে অংশ হিসাবে নোয়ায়াখালী সোনাইমুড়ী ইসলামী ব্যাংক শাখা মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সভা করেন, দেশের বেসরকারি খাতের বেশ কয়েকটি ব্যাংকে ২০১৭ সালের পর লুটেরা গোষ্ঠীর মদদে হাজার হাজার কর্মী নিয়োগ হয়েছে। বিশেষ করে চট্টগ্রামভিত্তিক বিতর্কিত ব্যবসায়ী গ্রুপ এস আলমের নিয়ন্ত্রণে থাকা ব্যাংকগুলোতে গণহারে অবৈধ নিয়োগ প্রক্রিয়া চলে। শুধু ২০১৭-২০২৪ সাল পর্যন্ত এসব ব্যাংকে কমপক্ষে ৩১ হাজার কর্মী নিয়োগ করে এস আলম। এর মধ্যে সিংহভাগই তার নিজের উপজেলা পটিয়ার। এ ছাড়া বাঁশখালীসহ চট্টগ্রামের অন্যান্য অঞ্চল থেকে নিয়োগ দেন কয়েক হাজার জনবল। তবে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে গত বছরের ৫ আগস্ট রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর অবৈধভাবে নিয়োগপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের ছাঁটাই শুরু হয়। এক্ষেত্রে বিভিন্ন কৌশল অবলম্বন করেছে ব্যাংকগুলো।

তথ্য বলছে, রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর এখন পর্যন্ত সাড়ে তিন হাজারের বেশি ব্যাংক কর্মকর্তা ছাঁটাই হয়েছেন। এর মধ্যে বেসরকারি খাতের ইসলামী ব্যাংক থেকে ছাঁটাই করা হয়েছে ৮ শতাধিক কর্মকর্তাকে। প্রায় একই পরিমাণে কর্মী ছাঁটাই হয়েছে ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংকে। এস আলমের নিয়ন্ত্রণে থাকা আরেক ব্যাংক সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংকে (এসআইবিএল) ছাঁটাই হয়েছে ১ হাজার ৩৮ জন, ইউনিয়ন ব্যাংকে ৪০০ এবং গ্লোবাল ইসলামী ব্যাংকে সাতজন। এ ছাড়া আল আরাফাহ ইসলামী ব্যাংক থেকে ছাঁটাই করা হয়েছে ৫৪৭ জনকে।

চট্টগ্রামের ব্যবসায়ী গ্রুপ এস আলম ইসলামী ব্যাংকসহ একাধিক শরিয়াহভিত্তিক ব্যাংকের নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার পর অস্বচ্ছ প্রক্রিয়ায় গণহারে কর্মী নিয়োগ দেয় বলে অভিযোগ রয়েছে। তথ্য বলছে, এস আলমের বাড়ির সামনে একটি বক্স (‘জাদুর বাক্স’) রাখা ছিল। যেখানে ইচ্ছামতো সিভি ফেলতেন তার উপজেলা ও আশপাশের উপজেলার লোকজন। এরপর সেখান থেকে সিভি নিয়ে বিভিন্ন ব্যাংকে নিয়োগ দেওয়া হতো তাদের। দেখা হতো না কোনো সনদও। তাদের মূল যোগ্যতাই ছিল চট্টগ্রামের বাসিন্দা। ২০১৭ থেকে ২০২৪ সালের আগস্ট পর্যন্ত ইসলামী ব্যাংকেই ১১ হাজার কর্মী নিয়োগ দেওয়া হয়, যাদের অধিকাংশের নিয়োগে কোনো বিজ্ঞপ্তি, পরীক্ষা বা সনদ যাচাই হয়নি। তাদের মধ্যে ৭ হাজার ২২৪ জন এস আলমের নিজ উপজেলা পটিয়ার বাসিন্দা। আগে ব্যাংকে চট্টগ্রামের কর্মীর সংখ্যা ছিল মাত্র ৭৭৬ জন। এস আলমের দখলে থাকা ইসলামী ব্যাংক, আল-আরাফাহ, সোশ্যাল ইসলামী, ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী, গ্লোবাল ইসলামী, ইউনিয়ন ও বাংলাদেশ কমার্স ব্যাংকে আরও প্রায় ২০ হাজার জনকে একইভাবে নিয়োগ দেওয়া হয়। লোক নিয়োগের মূল উদ্দেশ্য ছিল ব্যাংকগুলোতে একক প্রভাব বিস্তার ও অনুগত বাহিনী তৈরি করা। আবার সাবেক এক গভর্নরের সুপারিশে আরও প্রায় ২ হাজার ৯০০ জন নিয়োগ পান এস আলম নিয়ন্ত্রিত বিভিন্ন ব্যাংকে। মূলত সেই গভর্নরই এস আলমের ব্যাংক দখলের অনুমতি, ঋণ নিয়ে ফেরত না দেওয়ার সুযোগসহ বিভিন্ন সুযোগ করে দেন বলে অভিযোগ রয়েছে।

উক্ত মানববন্ধনে উপস্থিথ ছিলেন ইসলামী ব্যাংকের ম্যানেজার আবদুল হক ও ব্যাংকের অন্যান্য কর্মকর্তাগণ, সাংবাদিক, ব্যবসায়ী,ব্যক্তিবর্গ ছিলেন,সোনাইমুড়ী প্রেস ক্লাবের সাবেক সভাপ্রতি,ও পৌরসভার ১নং ওয়ার্ড সাবেক কাউন্সিলার ডাঃসামছুল আরফেনি (মান্না হুমিও হল )জাফর,সোনাইমুড়ী প্রেস ক্লাবের বর্তমান সভাপ্রতি বেলাল হোসাইন ভূয়া, ব্যবসায়ী ডাঃ আবু নোমান,(সেতেরা মান্না হূমিও হল)দলিল লেখক ও ব্যবসায়ী ফারুক হোসেন ,পৌরসভার ৩নং ওয়ার্ড সাবেক কাউন্সিলার ফিরোজ মোল্লাহ প্রমূখ।

শেয়ার করুন