চলতি বছরের জুন মাস থেকে বাংলাদেশে আনুষ্ঠানিকভাবে ৪০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ রপ্তানি শুরু করবে নেপাল। দেশটির কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, জুন থেকে নভেম্বর পর্যন্ত পাঁচ মাসের জন্য নেপাল থেকে এই বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হবে।
গত বছর বাংলাদেশ, নেপাল এবং ভারতের মধ্যে স্বাক্ষরিত ত্রিপক্ষীয় এক চুক্তির আওতায় এই বিদ্যুৎ রপ্তানি করা হচ্ছে। নেপালি সংবাদমাধ্যম নেপাল মনিটর-এর এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দক্ষিণ এশিয়ার বিদ্যুৎ সংযোগ জোরদার করতে ভারতের সঞ্চালন লাইন ব্যবহার করে নেপাল থেকে বাংলাদেশে বিদ্যুৎ সরবরাহ শুরু হবে আগামী জুনে। সম্প্রতি বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশির উদ্দিনের সঙ্গে এক বৈঠকে বাংলাদেশে নিযুক্ত নেপালি রাষ্ট্রদূত ঘনশ্যাম ভাণ্ডারি বিদ্যুৎ রপ্তানির বিষয়ে নিশ্চিত করেছেন।
ভারতের ভূখণ্ড ব্যবহার করে নেপাল থেকে বাংলাদেশে বিদ্যুৎ সরবরাহের বিষয়ে চূড়ান্ত চুক্তি স্বাক্ষরিত হয় ২০২৩ সালের ৩ অক্টোবর। নেপাল মনিটর জানিয়েছে, বাংলাদেশ, নেপাল ও ভারতের মধ্যে সহযোগিতা বৃদ্ধির বৃহত্তর প্রচেষ্টার অংশ হিসেবে এই চুক্তি হয়েছে। বাংলাদেশে বিদ্যুৎ সরবরাহ বৃদ্ধি ও ক্রমবর্ধমান বিদ্যুৎ চাহিদা পূরণ করাই এর মূল লক্ষ্য।
ত্রিপক্ষীয় চুক্তি অনুযায়ী, নেপাল ২০২৫ সাল থেকে ২০২৯ সাল পর্যন্ত প্রতি বছরের ১৫ জুন থেকে ১৫ নভেম্বর পর্যন্ত বাংলাদেশে বিদ্যুৎ সরবরাহ করবে। প্রতি ইউনিট বিদ্যুতের মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে ৮ দশমিক ১৭ নেপালি রুপি, যেখানে ভারতের সঞ্চালন লাইনের খরচ অন্তর্ভুক্ত থাকবে।
নেপালের দুটি জলবিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে বিদ্যুৎ আসবে—ত্রিশূলি থেকে ২৫ মেগাওয়াট এবং চিলিমি হাইড্রোপাওয়ার প্রকল্প থেকে ২২ মেগাওয়াট।
নেপালি রাষ্ট্রদূত ঘনশ্যাম ভাণ্ডারি বলেছেন, নেপালের বিপুল জলবিদ্যুৎ সম্ভাবনা রয়েছে, যা আগামী বছরগুলোতে আরও বৃদ্ধি পাবে। তিনি আশা প্রকাশ করেন যে ভবিষ্যতে বাংলাদেশে বিদ্যুৎ রপ্তানির পরিমাণ আরও বাড়বে, যা দুই দেশের জন্যই লাভজনক হবে।
