
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সম্প্রতি ‘স্ট্রেনদেনিং পলিটিক্যাল ল্যান্ডস্কেপ ইন বাংলাদেশ (এসপিএল)’ নামে একটি প্রকল্পে যুক্তরাষ্ট্রের ২৯ মিলিয়ন ডলার অর্থ সহায়তার বিষয়ে মন্তব্য করেছেন, যা বাংলাদেশে ব্যাপক আলোচনা ও সমালোচনার জন্ম দিয়েছে। ট্রাম্পের দাবি অনুযায়ী, এই তহবিল বাংলাদেশের একটি প্রতিষ্ঠানে দেওয়া হয়েছে, যেখানে মাত্র দুইজন কর্মী কাজ করেন।
অন্যদিকে, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আইনুল ইসলাম এই প্রকল্পের সাথে তার কোনো সম্পৃক্ততা নেই বলে স্পষ্ট করেছেন। তিনি উল্লেখ করেছেন যে, তিনি ইন্টারন্যাশনাল ফাউন্ডেশন ফর ইলেক্টোরাল সিস্টেমস (আইএফইএস)-এর সাথে কাজ করেন, তবে ইউএসএইড বা যুক্তরাষ্ট্রের কোনো প্রতিষ্ঠানের সাথে তার সরাসরি কাজ করার লাইসেন্স নেই।
এছাড়া, ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের একটি প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে যে, ইউএসএইডের তহবিল ভারতে নয়, বরং ২০২২ সালে বাংলাদেশে অনুমোদিত হয়েছিল। এই প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে যে, ২১ মিলিয়ন ডলারের মধ্যে অন্তত ১৩.৪ মিলিয়ন ডলার ইতোমধ্যে বিতরণ করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, গত সেপ্টেম্বরে যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি, সুশাসন এবং উন্নয়নের জন্য অতিরিক্ত ২০২ মিলিয়ন ডলার সহায়তা প্রদানের ঘোষণা দিয়েছে। এই সহায়তা ২০২১ থেকে ২০২৬ সালের মধ্যে ইউএসএইডের মাধ্যমে প্রদত্ত মোট ৯৫৪ মিলিয়ন ডলারের অংশ।
বর্তমানে, ইউএসএইডের তহবিল বাংলাদেশে কারা পেয়েছেন এবং কীভাবে ব্যবহৃত হয়েছে, সে বিষয়ে আলোচনা ও তদন্ত চলছে।