
দুটি মন্ত্রণালয়ের টানাপোড়েনের কারণে জাতীয় নগর নীতি চূড়ান্ত করা নিয়ে অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছে। স্থানীয় সরকার বিভাগ ও গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয় উভয়েই এই নীতির দায়িত্ব নিজেদের অধীনে বলে দাবি করছে।
স্থানীয় সরকার বিভাগ ২০০৪ সাল থেকে নগর নীতির খসড়া প্রস্তুতের কাজ করে আসছে এবং তাদের আইনি এখতিয়ার অনুযায়ী এটি তাদের দায়িত্ব বলেও জানিয়েছে। অন্যদিকে, গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয় বলছে, নগর পরিকল্পনার বিষয়টি তাদের অধীনস্থ এবং তারা ইতোমধ্যে ‘জাতীয় নগরায়ণ নীতি (খসড়া)’ প্রস্তুত করেছে।
সম্প্রতি গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয় স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিবকে চিঠি দিয়ে জানিয়েছে যে, ‘অ্যালোকেশন অব বিজনেস’ অনুযায়ী নগরায়ণের বেশিরভাগ কার্যক্রম তাদের মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন। অন্যদিকে, স্থানীয় সরকার বিভাগ বলছে, তারা খসড়াটি চূড়ান্ত পর্যায়ে নিয়ে গেছে এবং শিগগিরই মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে পাঠানোর পরিকল্পনা রয়েছে।
এই সমন্বয়হীনতার বিষয়ে নগর বিশেষজ্ঞরা উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব প্ল্যানার্সের সভাপতি অধ্যাপক আদিল মুহাম্মদ খান দুটি আলাদা নীতির খসড়া তৈরি করাকে সমন্বয়হীনতার উদাহরণ হিসেবে উল্লেখ করেছেন।
সংশ্লিষ্টরা মনে করছেন, উপদেষ্টা পরিষদই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে এবং মন্ত্রণালয়গুলোর দায়িত্ব নির্ধারণ করবে, যাতে দ্বৈততা এড়ানো যায় এবং কার্যকর নগর নীতি গৃহীত হয়।