
সীমান্তে আটটি স্থলবন্দর বন্ধের সিদ্ধান্ত, নতুন বন্দরের সম্ভাবনা পর্যালোচনা
বাংলাদেশের সীমান্ত এলাকার আটটি স্থলবন্দর আয় না থাকায় বন্ধ করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা, অবসরপ্রাপ্ত ব্রিগেডিয়ার জেনারেল সাখাওয়াত হোসেন।
বৃহস্পতিবার (৬ ফেব্রুয়ারি) চট্টগ্রাম বন্দরের কার শেডসহ বিভিন্ন স্থাপনা পরিদর্শনের পর এক নম্বর জেটিতে উপস্থিত সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ তথ্য জানান।
আটটি স্থলবন্দর বন্ধের কারণ
সাখাওয়াত হোসেন বলেন, “কিছুদিন আগে আমি কয়েকটি সীমান্ত এলাকার স্থলবন্দর পরিদর্শন করেছি, যেগুলো চট্টগ্রাম বন্দরের সঙ্গে যুক্ত হওয়ার কথা ছিল। সেখানে কোনো আমদানি না থাকায় আমরা রাজস্ব থেকে শুধু খরচ করছি। ১০ বছর পেরিয়ে গেলেও এক টাকাও রাজস্ব আসেনি। তাই আমরা এগুলো বন্ধ করার বিষয়টি পর্যালোচনা করছি এবং এ নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেব।”
নতুন স্থলবন্দরের পরিকল্পনা
তিনি আরও জানান, বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুম এলাকায় একটি নতুন স্থলবন্দর করার সম্ভাবনা পর্যালোচনা করা হচ্ছে। তিনি বলেন, “টেকনাফে মিয়ানমারের সঙ্গে আমাদের একটি বন্দর আছে, যেখানে কিছু আমদানি হয়। পাশাপাশি ঘুমধুম এলাকায় রাখাইন রাজ্যের সঙ্গে সংযোগ আছে। ভবিষ্যৎ চিন্তা করে সেখানে স্থলবন্দর করার সম্ভাবনা যাচাই করব।”
মিয়ানমারের সঙ্গে বাণিজ্যিক সংযোগের ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা
ব্রিগেডিয়ার জেনারেল সাখাওয়াত হোসেন আরও বলেন, “মিয়ানমারের রাজনৈতিক পরিস্থিতি যাই হোক, রাখাইন রাজ্যের সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক ছিল এবং থাকবে। যেহেতু রোহিঙ্গারা সেখানে বসবাস করে, ভবিষ্যতে প্রয়োজন হলে সেখানে একটি বন্দর স্থাপন করা হবে। টেকনাফ পোর্টকে আমরা স্থলবন্দর বললেও সেটি মূলত একটি নৌবন্দর হিসেবে পরিণত হতে পারে।”
সরকারের এই উদ্যোগ সীমান্ত বাণিজ্যের বর্তমান পরিস্থিতি ও ভবিষ্যৎ সম্ভাবনার দিকে নজর রেখে নেওয়া হয়েছে বলে তিনি উল্লেখ করেন।