
বাংলাদেশ রেলওয়ের রানিং স্টাফরা মূল বেতনের সঙ্গে রানিং অ্যালাউন্স যোগ করে পেনশন এবং আনুতোষিক সুবিধা দেওয়ার বিষয়ে জটিলতা নিরসন না হওয়ায় কর্মবিরতিতে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। এর ফলে সারা দেশে রাত ১২টার পর শিডিউলে থাকা ট্রেনগুলোতে উঠেননি রানিং স্টাফরা, ফলে প্রারম্ভিক স্টেশন থেকে কোনো ট্রেন ছাড়েনি। রানিং স্টাফদের মধ্যে ট্রেন চালক, গার্ড ও টিকিট চেকাররা রয়েছেন।
এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন বাংলাদেশ রেলওয়ে রানিং স্টাফ ও শ্রমিক কর্মচারী সমিতির ঢাকা মহানগর কমিটির সাধারণ সম্পাদক সাঈদুর রহমান। তিনি বলেন, রেল ভবন থেকে কোনো সিদ্ধান্তের কথা জানানো হয়নি, এবং কর্মবিরতি চালিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্তে অটল রয়েছেন তারা।
ঢাকা রেলওয়ে স্টেশন কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, রাত ১২টার আগের কিছু ট্রেন চলতে শুরু করলেও রাত ১২টার পর শিডিউল অনুযায়ী কোনো ট্রেন চলাচল করেনি। তবে, রানিং স্টাফরা নিশ্চিত করেছেন যে, রাত ১১টা ৫৯ মিনিট পর্যন্ত যেসব ট্রেন প্রারম্ভিক স্টেশন থেকে ছাড়বে, সেগুলোর প্রতিটি যাত্রীকে নিরাপদে গন্তব্যে পৌঁছানো হবে, তবে গন্তব্য স্টেশনে পৌঁছানোর পর তারা কর্মবিরতিতে চলে যাবেন।
রেলপথ মন্ত্রণালয় ট্রেন চলাচল বন্ধের কর্মসূচি প্রত্যাখ্যান করেছে, তবে রানিং স্টাফরা দাবি আদায়ে অটল রয়েছেন। তারা জানিয়েছেন, ২০২০সালে রেলওয়ের কোডিফাইড রুল অমান্য করে রানিং স্টাফদের পার্ট অব পে হিসেবে গণ্য মাইলেজ, যা ১৬০ বছর ধরে বেতন খাতের অংশ ছিল, তা টিএ খাতে নিয়ে যাওয়ার ফলে এই সমস্যার সৃষ্টি হয়েছে। এর পর ২০২১ সালে অর্থ মন্ত্রণালয় মাইলেজ যোগ করে পেনশন ও আনুতোষিক সুবিধা দেওয়ার বিষয়ে আপত্তি জানায়।
রেলপথ উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান জানিয়েছেন, রানিং স্টাফদের দাবি অর্থ মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে এবং তারা কিছুটা কনসিডারেশন নিয়ে পাঠিয়েছে, তবে এটি রেলওয়ের হাতে নেই। সমাধান প্রসঙ্গে সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো. মজিবুর রহমান বলেন, অর্থ মন্ত্রণালয়কে স্পষ্টীকরণ চিঠি দিতে হবে, না হলে কর্মবিরতি প্রত্যাহার করা হবে না।