
এমবিবিএস ভর্তি পরীক্ষায় কোটা বহাল থাকবে কি না, তা রাষ্ট্রীয় সিদ্ধান্ত বলে জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী অধ্যাপক ডা. সায়েদুর রহমান। তিনি বলেন, মুক্তিযোদ্ধা কোটা বাতিলের সিদ্ধান্ত স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের নয়, এটি রাষ্ট্রের নীতিগত বিষয়।
সোমবার (২০ জানুয়ারি) রাজধানীর হোটেল রেডিসন ব্লুতে এক অনুষ্ঠানের পর সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা বলেন।
অধ্যাপক ডা. সায়েদুর রহমান বলেন, “কোটা বাতিলের আন্দোলনের প্রেক্ষিতে আদালতের দেওয়া রায়ে মূল পরিবর্তনটি হলো—নাতি-নাতনির পরিবর্তে শুধু সন্তানকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। কোটার বিষয়টি ভর্তি প্রক্রিয়ার ক্ষেত্রে একটি নীতিগত সিদ্ধান্ত। এমবিবিএস ভর্তি পরীক্ষাও প্রচলিত আইন ও বিধি অনুযায়ী অনুষ্ঠিত হয়েছে। তারপরও বিষয়টি পুনর্বিবেচনা করা হবে।”
তিনি আরও বলেন, “যেসব পরীক্ষার্থী (মুক্তিযোদ্ধা কোটা অনুযায়ী মেধা তালিকায় স্থান পেয়েছেন), তাদের মধ্যে ব্যতিক্রমী কিছু পাওয়া গেলে তা খতিয়ে দেখা হবে। উদাহরণস্বরূপ, যেসব পিতার বয়স ৬৭-৬৮ বছর এবং সন্তান থাকার সম্ভাবনা খুবই কম। ত্রুটি ধরা পড়লে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তবে কোটা বহাল রাখা বা বাতিলের চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের নয়, এটি রাষ্ট্রের। আগামী ২৭, ২৮ ও ২৯ জানুয়ারি বিষয়টি যাচাই-বাছাই করা হবে।”