
মার্কিন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা: হাসিনার পতনে যুক্তরাষ্ট্রের কোনো ভূমিকা নেই
ছাত্র-জনতার ব্যাপক বিক্ষোভের মুখে গত বছরের আগস্টে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পদত্যাগ করে দেশ ছেড়ে ভারতে আশ্রয় নেন। রাজনৈতিক এই পরিবর্তন ঘিরে অনেকেই যুক্তরাষ্ট্রের সম্ভাব্য ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুললেও, মার্কিন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জ্যাক সুলিভান সাফ জানিয়ে দিয়েছেন—হাসিনার পতনে যুক্তরাষ্ট্রের কোনো ভূমিকা নেই।
শুক্রবার (১০ জানুয়ারি) হোয়াইট হাউসের রুজভেল্ট রুমে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে জ্যাক সুলিভান বলেন, “ঢাকায় যা ঘটেছে, তার নেপথ্যে যুক্তরাষ্ট্রের কোনো হাত নেই। এমনকি ভারতের শীর্ষ পর্যায়ের কর্মকর্তারাও এ অভিযোগ ভিত্তিহীন বলে মনে করেন।”
ওয়াশিংটনের প্রতিক্রিয়া
শেখ হাসিনার পদত্যাগে যুক্তরাষ্ট্রের জড়িত থাকার অভিযোগের বিষয়ে আগেও স্পষ্ট বক্তব্য দিয়েছে হোয়াইট হাউস। গত বছরের আগস্টে হোয়াইট হাউসের মুখপাত্র কারিন জ্যঁ-পিয়েরে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে বলেছিলেন, “বাংলাদেশে ক্ষমতার পালাবদলে যুক্তরাষ্ট্রের কোনো সংশ্লিষ্টতা নেই। এই ধরনের অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা।”
ভারতীয় সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম হিন্দুস্তান টাইমস তাদের প্রতিবেদনে বলেছে, ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে বাংলাদেশের রাজনৈতিক পটপরিবর্তন ঘটে। এই পরিস্থিতিতে শেখ হাসিনা দেশ ছেড়ে পালিয়ে ভারতে আশ্রয় নেন। ভারতের ইকোনমিক টাইমস দাবি করেছিল, হাসিনা যুক্তরাষ্ট্রকে দায়ী করে বলেছেন যে, তারা বঙ্গোপসাগরে সেন্ট মার্টিন দ্বীপের নিয়ন্ত্রণ চায়।
তবে হাসিনার ছেলে সজীব ওয়াজেদ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্স-এ দেওয়া এক পোস্টে এ ধরনের অভিযোগ অস্বীকার করেন। তিনি দাবি করেন, “শেখ হাসিনা কখনোই এমন কোনো বক্তব্য দেননি।”
বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্কের অবনতি
হাসিনার ভারতে আশ্রয় নেওয়ার পর থেকে বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্কের টানাপোড়েন শুরু হয়েছে বলে উল্লেখ করেছে বিভিন্ন সংবাদমাধ্যম। এর পেছনে যুক্তরাষ্ট্রের ভূমিকা নিয়ে বিতর্ক চললেও দিল্লি ও ওয়াশিংটন, উভয় পক্ষই বিষয়টি ভিত্তিহীন বলে নাকচ করেছে।
মার্কিন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জ্যাক সুলিভানের বক্তব্য অনুযায়ী, শেখ হাসিনার পতনে যুক্তরাষ্ট্রের কোনো ভূমিকা ছিল না। তবে বাংলাদেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি ও আন্তর্জাতিক প্রেক্ষাপট নিয়ে বিতর্ক এবং জল্পনা এখনও অব্যাহত।