
জোরদার উদ্যোগ: ঢাকা শহরের ট্র্যাফিক ব্যবস্থার উন্নয়ন
ঢাকা শহরের ট্র্যাফিক ব্যবস্থাকে উন্নত ও যানজট সহনীয় পর্যায়ে আনার লক্ষ্যে সরকার অবৈধ যানবাহনের বিরুদ্ধে চলমান অভিযান আরও জোরদার করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
গত ৬ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত এক বিশেষ সভায় প্রধান উপদেষ্টার প্রতিরক্ষা ও জাতীয় সংহতি উন্নয়ন বিষয়ক বিশেষ সহকারী লে. জেনারেল (অব.) আব্দুল হাফিজের সভাপতিত্বে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সভায় ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ, সিটি কর্পোরেশন, বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট) এবং পরিবহন বিশেষজ্ঞরা উপস্থিত ছিলেন।
অবৈধ যানবাহন উচ্ছেদে অগ্রগতি
অভিযানের পরিসংখ্যান:
গত ১ সেপ্টেম্বর ২০২৪ থেকে ৩১ ডিসেম্বর ২০২৪ পর্যন্ত ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ ৪৫,৪৫৭টি ব্যাটারিচালিত রিকশা ও ৫,৯৭৯টি পায়ে চালিত রিকশার বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা করে।
১,৩৯,০০১টি মামলার মাধ্যমে প্রায় ৫০ কোটি টাকা জরিমানা আদায় করা হয়।
জনশক্তি বৃদ্ধি:
ট্র্যাফিক ব্যবস্থার উন্নয়নে ৪,২০০ পুলিশ সদস্য এবং ৬০০ ছাত্র প্রতিনিধিকে মাঠ পর্যায়ে যুক্ত করা হয়েছে।
পাইলট প্রকল্প: আধুনিক সিগন্যাল ব্যবস্থা
বুয়েটের পরামর্শ অনুযায়ী, আগামী ৬ ফেব্রুয়ারি থেকে পাইলট প্রকল্পের আওতায় ঢাকার চারটি ইন্টারসেকশনে দেশীয় প্রযুক্তি ব্যবহার করে ট্র্যাফিক সিগন্যাল ব্যবস্থা স্থাপন করা হবে। সফলতা বিবেচনায় চার মাসের মধ্যে আরও ১৮টি ইন্টারসেকশনে এ ব্যবস্থা চালু করা হবে।
নীতিমালা প্রণয়ন ও কার্যক্রম
ব্যাটারিচালিত রিকশা নিয়ন্ত্রণের জন্য দ্রুত নীতিমালা প্রণয়নের কাজ চলছে।
প্রধান সড়কে এসব রিকশার চলাচল সীমিত করতে কার্যকরী ব্যবস্থা নেওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে।
অন্যান্য উদ্যোগ
সড়কে রোড মার্কিং, ট্র্যাফিক সাইন এবং বাস স্টপেজ মার্কিং দ্রুত সম্পন্ন করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
যানজটের কারণ নির্ধারণ ও সমাধানের জন্য ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ এবং ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষের নেতৃত্বে ট্র্যাফিক মনিটরিং টিম গঠনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
বাস স্টপেজে নির্ধারিত স্থানে বাস থামানো নিশ্চিত করতে পুলিশকে কঠোর নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
সার্বিক লক্ষ্য
সভার মূল উদ্দেশ্য ছিল যানজট কমিয়ে ঢাকাবাসীর জীবনযাত্রা সহজতর করা এবং ট্র্যাফিক ব্যবস্থায় দীর্ঘমেয়াদী উন্নয়ন নিশ্চিত করা। সংশ্লিষ্ট সব সংস্থাকে সমন্বিত উদ্যোগ নেওয়ার আহ্বান জানানো হয়েছে।