
দক্ষিণ কোরিয়ার অভিশংসিত প্রেসিডেন্ট ইউন সুক ইওলের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা কার্যকরের জন্য তদন্তকারীরা তার বাসভবনে পৌঁছেছেন। যদিও তার নিরাপত্তা দল গ্রেপ্তার প্রক্রিয়ায় বাধা দেবে কিনা, তা এখনও নিশ্চিত নয়। চলতি সপ্তাহে আদালত তার বিরুদ্ধে নজিরবিহীন এই পরোয়ানা জারি করে।
ডিসেম্বরের শুরুতে আকস্মিকভাবে সামরিক আইন জারির সিদ্ধান্তের পর ইউন সুক ইওল সংসদে অভিশংসিত হন। তবে সামরিক আইন জারির ঘোষণা বিরোধীদের তীব্র প্রতিবাদ ও সংসদে ভোটাভুটির পর তিনি তা প্রত্যাহার করতে বাধ্য হন। পরবর্তীতে রাষ্ট্রদ্রোহের মামলায় তদন্ত চলমান থাকা অবস্থায় আদালত তার দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা দেয়।
শুক্রবার সকাল ৭টার কিছু পরে, দুর্নীতি তদন্তকারী সংস্থা (সিআইও) এবং পুলিশ ও প্রসিকিউটরদের একটি দল তার বাসভবনে প্রবেশ করে। এই গ্রেপ্তারি পরোয়ানা ৬ জানুয়ারি পর্যন্ত কার্যকর থাকবে। গ্রেপ্তার হলে ইউনকে সিউল ডিটেনশন সেন্টারে রাখা হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
গ্রেপ্তারি পরোয়ানার পাশাপাশি তার রাষ্ট্রপতির নির্বাহী ক্ষমতা স্থগিত করা হয়েছে। সংবিধান অনুযায়ী, তার স্থলে ভারপ্রাপ্ত প্রেসিডেন্ট দায়িত্ব পালন করবেন। তবে সাংবিধানিক আদালত ইউনের চূড়ান্ত ভাগ্য নির্ধারণ না করা পর্যন্ত তিনি প্রেসিডেন্ট পদে থাকবেন।