১৯শে অক্টোবর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, রবিবার
৩রা কার্তিক, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

আরও তীব্র হলো গ্যাস সংকট

শেয়ার করুন

গ্যাস সংকটের চলমান পরিস্থিতির মধ্যে একটি তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস (এলএনজি) রি-গ্যাসিফিকেশন টার্মিনাল রক্ষণাবেক্ষণের জন্য বন্ধ হয়ে গেছে, যা আরও গ্যাস সংকটের সৃষ্টি করেছে। বুধবার সকালে টার্মিনালটি বন্ধ হয়ে যাওয়ার পর অনেক অঞ্চলে গ্যাসের সরবরাহ শূন্যের কাছাকাছি চলে গেছে, আবার কোথাও সরবরাহ থাকলেও গ্যাসের চাপ ছিল খুব কম।

এ বছর শীতকালে গ্যাসের সংকট আরও প্রকট হয়ে উঠেছে। দেশে গ্যাস উৎপাদন কমে যাওয়ার পাশাপাশি ডলার সংকটে এলএনজি আমদানি করা যাচ্ছে না এবং চাহিদা বেড়ে যাওয়ায় সংকটের অবস্থা আরও জটিল হয়েছে। একটি এলএনজি টার্মিনাল বন্ধ হওয়ায় পরিস্থিতি আরও খারাপ হয়েছে। পেট্রোবাংলা জানিয়েছে, একটি টার্মিনাল চারদিন রক্ষণাবেক্ষণের জন্য বন্ধ রাখা হবে, যার ফলে প্রতিদিন গ্যাস সরবরাহ ৩৫০-৪০০ মিলিয়ন ঘনফুট কমে যাবে।

শিল্পখাতের জন্য গ্যাসের সংকট দীর্ঘদিনের সমস্যা, তবে শীতকালে বিদ্যুতের চাহিদা কমে যাওয়ার কারণে কিছুটা উন্নতি হতে থাকে। তবে এবারের পরিস্থিতি ভিন্ন, কারণ বিদ্যুৎ উৎপাদনে গ্যাসের ব্যবহার কমেছে এবং সার উৎপাদন বাড়ানোর কারণে শিল্পখাতে গ্যাসের চাপ আরও কমে গেছে। ব্যবসায়ীরা জানান, গ্যাস সংকটের কারণে তারা জ্বালানি তেল ব্যবহার করতে বাধ্য হচ্ছেন, যা অত্যন্ত ব্যয়বহুল। একটি মাঝারি কারখানায় দৈনিক ৬ থেকে ৮ লাখ টাকার ডিজেল খরচ হচ্ছে, এবং প্রথম সারির কারখানায় তা ১২ থেকে ১৪ লাখ টাকাও ছাড়াতে পারে। তবে অনেক কারখানার মালিকের পক্ষে এ ধরনের খরচ বহন করা সম্ভব হচ্ছে না।

ঢাকা এবং তার আশপাশের এলাকায় গ্যাস সংকট সবচেয়ে তীব্র হয়ে উঠেছে। শিল্পকারখানাগুলোর গ্যাস চাপ ২-৩ পিএসআই এ নেমে এসেছে, যা সাধারণত ১৫ পিএসআই প্রয়োজন। এর ফলে উৎপাদন ব্যাহত হচ্ছে। আবাসিক গ্রাহকদেরও পাইপলাইনে গ্যাস সরবরাহ না পেয়ে বড় ভোগান্তি হচ্ছে। অনেকেই বিকল্প হিসেবে এলপি গ্যাস ব্যবহার করছেন, যা জীবনযাপনের ব্যয় বাড়িয়ে দিচ্ছে।

এদিকে, পেট্রোবাংলা সূত্রে জানা গেছে, বুধবার দেশে ১ হাজার ৬০০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস সরবরাহ করা হয়েছে, এর মধ্যে দেশীয় গ্যাসের পরিমাণ ছিল ১ হাজার ১৭১ মিলিয়ন ঘনফুট এবং এলএনজি থেকে সরবরাহ ৪০০ মিলিয়ন ঘনফুট।

 

শেয়ার করুন