১৯শে অক্টোবর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, রবিবার
৩রা কার্তিক, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

মানবতার বন্ধনে আবদ্ধের আমন্ত্রণে শুভ বড়দিন

শেয়ার করুন

আজ ২৫ ডিসেম্বর, খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বীদের সর্ববৃহৎ ধর্মীয় উৎসব ‘শুভ বড়দিন’। খ্রিস্টধর্মের প্রবর্তক যীশুখ্রিস্ট আজ থেকে দুই হাজার বছরেরও বেশি সময় আগে জেরুজালেমের কাছে বেথলেহেমে এক গোয়ালঘরে জন্মগ্রহণ করেছিলেন। হিংসা, অন্যায়, এবং পাপাচারে নিমজ্জিত মানুষকে সুপথে ফিরিয়ে আনার জন্য যীশু মানবজাতির মাঝে আবির্ভূত হন। সারাজীবন তিনি শান্তি, ভালোবাসা, এবং মানবতার বাণী প্রচার করে গেছেন।

বড়দিন উপলক্ষে গির্জাগুলো বর্ণিল সাজে সজ্জিত। রঙিন আলোকসজ্জায় আলোকিত গির্জাগুলোর ভেতরে ক্রিসমাস ট্রি এবং সান্তা ক্লজ স্থাপন করা হয়েছে। গির্জা প্রাঙ্গণে গোয়ালঘর নির্মাণ করে যীশুর জন্মস্থানের প্রতীকী চিত্রায়ণ করা হয়েছে।

উৎসবমুখর আয়োজন

বড়দিনকে কেন্দ্র করে দেশের খ্রিস্টান সম্প্রদায় আজ দিনব্যাপী প্রার্থনা, ধর্মীয় গান, এবং বিশেষ খাবারের আয়োজন করেছেন। রাজধানী ঢাকার তারকা হোটেলগুলোতেও বড়দিনের আলোকসজ্জা এবং কৃত্রিম ক্রিসমাস ট্রি স্থাপন করা হয়েছে।

বিশেষ প্রার্থনা মঙ্গলবার রাত থেকেই শুরু হয়েছে, যা আজ সকাল থেকে সারাদেশের গির্জাগুলোতে অব্যাহত থাকবে। বড়দিন উপলক্ষে আজ সরকারি ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে। অনেক পরিবারে কেক তৈরির পাশাপাশি বিশেষ খাবারের আয়োজন করা হয়েছে।

রাষ্ট্রপতি ও প্রধান উপদেষ্টার বাণী

রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন এবং অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস পৃথক বাণীতে খ্রিস্টান সম্প্রদায়সহ সকলের শান্তি ও কল্যাণ কামনা করেছেন।

রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন বলেন, যীশুখ্রিস্ট মানবজাতির জন্য সত্য ও ন্যায়ের দিশারি এবং আলোর প্রতীক। তার শিক্ষা ও আদর্শ বর্তমান পৃথিবীর অশান্ত পরিবেশে শান্তি প্রতিষ্ঠায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে।

অপরদিকে, প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, যীশুখ্রিস্ট শোষণমুক্ত সমাজ প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে নিজেকে উৎসর্গ করেছেন। বাংলাদেশ সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির দেশ, যেখানে সকল ধর্মের মানুষ শান্তিপূর্ণভাবে সহাবস্থান করছে।

সংবর্ধনা অনুষ্ঠান

বড়দিন উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন আজ দুপুর ১২টায় বঙ্গভবনে খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের নেতাদের সংবর্ধনা দেবেন। এই সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে কেক কাটা এবং ধর্মীয় নেতাদের সাথে শুভেচ্ছা বিনিময়সহ ফটোসেশনের আয়োজন করা হয়েছে।

ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্যে উদযাপন

বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও বড়দিন খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বীরা যথাযথ ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্য ও উৎসবের মধ্য দিয়ে উদযাপন করছেন। যীশুর শিক্ষা সবার জন্য অনুপ্রেরণার উৎস হয়ে থাকবে বলে আশা করা হচ্ছে।

শেয়ার করুন