কৃষি ডেস্কঃ
পাবদা মাছ উৎপাদন করে সফলতা অর্জন করছে সাতক্ষীরার মৎস্য চাষীরা। পাবদা মাছের বিদেশেও চাহিদা রয়েছে।
এ মাছ বছরে দুই বার চাষ করা যায় ও মাত্র ৫ থেকে ৬ মাসের মধ্যে বিক্রয় উপযোগী হয়ে উঠে। পাবদা মাছ খরচের তুলনায় বেশি দামে বিক্রি হওয়ায় অন্য মাছ চাষের তুলনায় লাভও বেশি এ মাছ চাষে। ফলে পাবদা মাছ চাষ করার সাতক্ষিরার মৎস্য চাষীদের আগ্রহ বাড়ছে ।
মৎস্য চাষীরা জানান, এ মাছ সাদা মাছের তুলনায় অনেক বেশি উৎপাদন হওয়ায় সাদা মাছের চেয়ে এ মাছ চাষের প্রতি তাদের আগ্রহ দিনে দিনে বাড়ছে। একটি নির্দিষ্ট জমিতে সাদা মাছ চাষ করে যা উৎপাদন হয় তার তিন গুনেরও বেশি পাবদা মাছ সেই একই জমিতে উৎপাদন করা সম্ভব। তবে ভালভাবে পাবদা মাছ উৎপাদন করতে প্রয়োজন কিছু বাড়তি যত্ন ।
বর্তমানে পাবদা মাছ চাষ করতে ব্যবহার হচ্ছে কিছু আধুনিক প্রযুক্তি যেখানে সাদা মাছ আর পাবদা মাছ এক সাথে উৎপাদিত হচ্ছে । এক জমিতে বছরে দুই বার উৎপাদন করে লাভবান হচ্ছেন মাছ চাষীরা ।
চিংড়ির পাশাপাশি পাবদা মাছের বিদেশে চাহিদা থাকায় পাবদা মাছ রপ্তানি করে এটি দেশের অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে ।
সাতক্ষীরা সদর উপজেলার খানপুর গ্রামের শরিফ আহমেদ জানান, ২০১৯ সালে জীবিকা নির্বাহের জন্য তিনি পাবদা মাছ চাষ শুরু করেছেন।
বর্তমানে তিনি একটি খামারের মালিক। তিনি একজন তরুণ উদ্যোক্তা হিসেবে কাজ করছেন যা অন্যান্য তরুণদের মাঝে মৎস্য উদ্যোক্তা হবার আগ্রহ তৈরি করছে।
তিনি দেশে সরবরাহের পাশাপাশি পাবদা মাছ ভারতে সরবরাহ করার স্বপ্ন বুনছেন। তিনি আরও জানান , এ মাছ খেতে অনেক সুস্বাদু হওয়ায় বিদেশে এ মাছের চাহিদা বাড়ছে ।
তার মতে , চাকুরীর পিছনে না ছুটে তরুণদের এ মৎস্য চাষের দিকে মনযোগী হয়ে স্বাবলম্বী হবার চেষ্টা করা উচিত।