আমি সঠিক সিদ্ধান্ত গ্রহনে বিশ্বাসি নই আমি যে সিদ্ধান্ত নেই সেটিকেই সঠিক হিসেবে বাস্তবায়ন করি।
আজকে আমি সবচেয়ে কঠিন যে কাজটি করছি তা হলো আমার নিজের আবেগ কে তুলে ধরা।
২০০৮সালের কথা বলছি।তখন আমি স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের এসিস্ট্যান্ট ডিরেক্টর।আমার উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা ছিলেন রওশন কবির, সুপারিন্টেন্ডেন্ট ইঞ্জিনিয়ার স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর।আমি দেখেছি উনার ক্ষমতার অপব্যবহার।
সে সময়ে একজন কার্যসহকারী মহিলা যে আমার অধঃস্তন কর্মচারি, তাকে প্রমোশন আমার উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা দিয়ে করিয়ে দেয়া হয়।
প্রমোশনটা হওয়ার কথা ছিল আমার,শুধুমাত্র শিউলি আক্তার ঘনিষ্ঠ হওয়ায় এই অবিচার। আমি জানি উত্থান -পতন থাকবেই।এভাবেই এগিয়ে যেতে হবে।কেননা ইসিজি রিপোর্ট সরল রেখা আসার মানেই আমি মৃত।
চলার পথে আমার দিকে মানুষ যে পাথরগুলো ছুড়ে মেরেছে সেগুলো সব কুড়িয়ে নিয়ে স্মৃতি বানাই।আমি খুব ব্যথিত হয়ে চাকুরিতে ইস্তফা দিয়েছিলাম।
নিজের আত্মসম্মানের সাথে সমঝোতা আমাকে দিয়ে হবে না সেটা আমি জানি।
সব কিছু মিলে যে গল্পটা তৈরি হয়েছে তার একটি বড় অংশ আজ অতীত।আমি যেই অতীতের সাথে বিদায় নিয়েছি,আজও হয়তো কোথাও সেই ভাললাগাটি জীবিত, কিন্তু আমি সেই পথে আর যেতে চাইনা এই নতুন পথটি,আমার জন্য, সেখানে আমি নিজেকে খুঁজে পেয়েছি।
অতীতের যন্ত্রণাগুলো আমাকে শক্তিশালি করেছে সেই শক্তিই আজ আমাকে সামনে এগিয়ে নিয়ে এসেছে। আমি জানি অতীতের ছায়া আমার চারপাশে থাকলেও, আমি তা থেকে মুক্ত।
আমি এখন শুধুই বর্তমান এবং ভবিষ্যতের পথে চলছি,যেখানে স্বার্থহীন মানুষ গুলো নতুন অর্থ নিয়ে হাজির হবে,আর কোন শূন্যতা থাকবেনা।নতুন সূর্যোদয়ের অপেক্ষায় পুরো বাংলাদেশ ভালো থাকবেন সারাবেলা।
লূবনা ইয়াসমিন
সম্পাদক
সিএনআই…