
হিমালয়ের নিকটবর্তী হওয়ায় দেশের অন্যান্য এলাকার তুলনায় পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায় শীতের প্রভাব বরাবরই বেশি থাকে। গত কয়েক দিন ধরে এ অঞ্চলে তাপমাত্রা ১২–১৪ ডিগ্রি সেলসিয়াসে ওঠানামা করছে। সন্ধ্যা থেকে ভোর পর্যন্ত প্রবল হিমেল বাতাস বইছে, যা শীতের তীব্রতা আরও বাড়িয়ে দিয়েছে।
মঙ্গলবার (২৫ নভেম্বর) সকাল ৯টায় তেঁতুলিয়ায় দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১২ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়। এ সময় বাতাসে আর্দ্রতার পরিমাণ ছিল ৭৯ শতাংশ।
সকালে দেখা যায় প্রকৃতি মোড়া হালকা কুয়াশায়। কুয়াশায় ভেজা শিশিরে বাড়ছে ঠান্ডা অনুভূতি। সন্ধ্যা নামলেই শীতের প্রভাব আরও তীব্র হয়ে ওঠে। এতে বেড়েছে শীতের পোশাকের চাহিদা।
স্থানীয়রা জানান, সাধারণত নভেম্বরের শুরু থেকে তেঁতুলিয়ায় শীত বাড়তে থাকে। তবে সাম্প্রতিক বছরগুলোতে অক্টোবরের মাঝামাঝি থেকেই শীতের আগমন লক্ষ করা যাচ্ছে।
শীতকে ঘিরে নতুন ধানে কৃষকের ঘরে নবান্নের আমেজ। জেলার হাট-বাজারগুলোতে বিকেল গড়ালেই শুরু হয় গরম গরম পিঠার পসরা। ফুটপাতের দোকানগুলোতে ভোজনরসিকদের ভিড়ও বাড়ছে।
এদিকে শীতের মধ্যেও জীবিকার টানে কাজে বেরোতে হচ্ছে নিম্ন আয়ের শ্রমজীবী মানুষদের। চা বাগান, খনি এলাকা, নদীঘাটসহ বিভিন্ন স্থানে সকাল থেকে শ্রমিকদের ব্যস্ততা চোখে পড়ে। ভ্যানচালক, দিনমজুর, রিকশাচালকেরা জানাচ্ছেন, রোদের কারণে সকালবেলার কাজ কিছুটা স্বস্তিকর হচ্ছে।
তবে তাপমাত্রা কমে যাওয়ায় শিশু ও বয়স্কদের মধ্যে ঠান্ডাজনিত রোগ বাড়ছে। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিউমোনিয়া, হাঁপানি এবং সর্দি–কাশির রোগীর সংখ্যা আগের সপ্তাহের তুলনায় বৃদ্ধি পেয়েছে।
তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জিতেন্দ্র নাথ রায় জানান, হিমালয় ও কাঞ্চনজঙ্ঘার কাছাকাছি হওয়ায় তেঁতুলিয়ায় শীত নেমে আসে আগেভাগেই। মঙ্গলবার সকাল ৯টার তাপমাত্রা ছিল ১২ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ভোরে একই তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়। এখন পর্যন্ত তাপমাত্রা ১২ দশমিক ৬ ডিগ্রির নিচে নামেনি।
সিএনআই/২৫