
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র তাদের বিদেশি সন্ত্রাসী সংগঠন (FTO) তালিকায় নতুনভাবে ভেনেজুয়েলার কথিত ‘কার্টেল দে লস সোলেস’-কে যুক্ত করতে যাচ্ছে। প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসন আজ সোমবার আনুষ্ঠানিকভাবে এই ঘোষণা দেবে বলে আল জাজিরা জানিয়েছে।
প্রতিবেদনে জানানো হয়, ‘কার্টেল দে লস সোলেস’ প্রকৃতপক্ষে কোনো সংগঠিত কার্টেল নয়। এটি মূলত ভেনেজুয়েলার সামরিক ও সরকারি কর্মকর্তাদের দুর্নীতি, মাদক পাচার ও অবৈধ কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার একটি প্রচলিত নাম।
বিশ্লেষকদের মতে, এ সংযোজনের মাধ্যমে ক্যারিবীয় অঞ্চলে ভেনেজুয়েলাকে ঘিরে যুক্তরাষ্ট্রের বাড়তি সামরিক কার্যক্রমের মধ্যে সম্ভাব্য সামরিক হামলার আইনি ভিত্তি তৈরি হতে পারে।
রয়টার্সকে কয়েকজন মার্কিন কর্মকর্তা জানিয়েছেন, ওয়াশিংটন শিগগিরই অঞ্চলে নতুন ধাপের অভিযান শুরু করার প্রস্তুতি নিচ্ছে। তবে অভিযান কবে শুরু হবে এবং ট্রাম্প চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত দিয়েছেন কি না—তা এখনও নিশ্চিত নয়।
একজন জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা বলেন,
“ভেনেজুয়েলা নিয়ে আমরা কোনো বিকল্পই বাদ দিচ্ছি না।”
আরও দুই কর্মকর্তা জানান, পরিকল্পনার প্রথম ধাপে গোপন অভিযানের সম্ভাবনা রয়েছে, যার মধ্যে প্রেসিডেন্ট নিকোলাস মাদুরোকে উৎখাতের প্রচেষ্টাও থাকতে পারে।
১৯৯০-এর দশকে ভেনেজুয়েলায় সামরিক কর্মকর্তাদের মাদক পাচারের অভিযোগ থেকে এই শব্দের উৎপত্তি।
পরবর্তীতে এটি দুর্নীতি, অবৈধ খনি এবং বিভিন্ন অপরাধে জড়িত পুলিশ ও সরকারি কর্মকর্তাদের বোঝাতেও ব্যবহৃত হয়।
‘সোলেস’ বা ‘সূর্যচিহ্ন’ বলতে সামরিক কর্মকর্তাদের ইউনিফর্মে থাকা বিশেষ প্রতীককে নির্দেশ করে।
২০২০ সালে মার্কিন বিচার বিভাগ এই নাম ব্যবহার করে মাদুরো ও তার ঘনিষ্ঠদের বিরুদ্ধে নার্কো-টেরোরিজমসহ নানা অভিযোগ আনে।
ভেনেজুেলার প্রেসিডেন্ট নিকোলাস মাদুরো দাবি করে আসছেন, ট্রাম্প প্রশাসন তাকে ক্ষমতা থেকে সরাতে চায় এবং দেশটির জনগণ ও সামরিক বাহিনী এমন প্রচেষ্টার বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলবে।
সিএনআই/২৫