ক্ষমতার অপব্যবহার করে পূর্বাচল নতুন শহর প্রকল্পে ১০ কাঠা সরকারি জমি বরাদ্দ নেওয়ার অভিযোগে ক্ষমতাচ্যুত সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা-সহ ১২ জনের বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) করা মামলার রায় ঘোষণা করা হবে চলতি মাসেই।
মঙ্গলবার (১৮ নভেম্বর) দুদকের পাবলিক প্রসিকিউটর অ্যাডভোকেট দেলোয়ার জাহান রুমি গণমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ হয় ১০ নভেম্বর। শেষ সাক্ষী হিসেবে ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৫-এ সাক্ষ্য দেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা দুদক সহকারী পরিচালক আফনান জান্নাত কেয়া। মোট ২৯ জন সাক্ষী আদালতে জেরা দিয়েছেন।
তদন্ত শেষে আদালত আসামিদের আত্মপক্ষ সমর্থনের জন্য ১৭ নভেম্বর দিন ধার্য করেন। তবে নির্ধারিত সময়ে কেউ আত্মপক্ষ সমর্থন করেননি।
চলতি বছরের ১৪ জানুয়ারি দুদকের উপ-পরিচালক সালাহউদ্দিন মামলাটি দায়ের করেন। ১০ মার্চ তদন্ত শেষে ১২ জনের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট দাখিল করা হয়।
শেখ হাসিনার পাশাপাশি মামলার অন্য আসামিরা হলেন—জাতীয় গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সহকারী সচিব পুরবী গোলদার, রাজউক-এর সাবেক চেয়ারম্যানের পিএ মো. আনিছুর রহমান মিঞা, রাজউকের সাবেক সদস্য শফি উল হক, খুরশীদ আলম, মোহাম্মদ নাসির উদ্দীন, মেজর (ইঞ্জি.) সামসুদ্দীন আহমদ চৌধুরী (অব.), উপপরিচালক নায়েব আলী শরীফ, জাতীয় গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের প্রশাসনিক কর্মকর্তা মো. সাইফুল ইসলাম সরকার, সচিব কাজী ওয়াছি উদ্দিন, সচিব শহিদ উল্লাহ খন্দকার, এবং সাবেক গৃহায়ন ও গণপূর্ত প্রতিমন্ত্রী শরীফ আহমেদ।
এর আগে ১৭ নভেম্বর আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল জুলাই গণঅভ্যুত্থানে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় শেখ হাসিনা ও সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালকে মৃত্যুদণ্ড দেন। একই মামলায় রাজসাক্ষী সাবেক আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুনকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়।
সিএনআই/২৫
