
ঘুম জীবনের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। ইসলামে ঘুমকে আল্লাহর নিয়ামত হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। পবিত্র কোরআনে বলা হয়েছে, “আর আমি তোমাদের নিদ্রাকে করেছি ক্লান্তি দূরকারী, রাত্রিকে করেছি আবরণ” (সুরা নাবা : ৯-১০)।
রাসুলুল্লাহ (সা.) ঘুমানোর আগে যে দোয়া পড়ার নির্দেশ দিয়েছেন, তা পড়লে কেউ রাতের ঘুমের মধ্যে ইমানের ওপর মৃত্যু লাভ করতে পারেন। দোয়ায় আত্মসমর্পণ, আল্লাহর প্রতি ভরসা এবং কিতাব ও নবীর ওপর বিশ্বাস প্রকাশ করা হয়।
বুরায়দা (রা.) বর্ণনা করেন, খালিদ ইবনে ওয়ালিদ আল-মাখজুমি (রা.) রাসুল (সা.)-এর কাছে অভিযোগ করেন, হে আল্লাহর রাসুল! অনিদ্রা রোগের কারণে আমি ঘুমাতে পারি না। তখন রাসুল (সা.) বললেন, যখন তোমরা শয্যাগ্রহণ করবে তখন বলবে, اللَّهُمَّ رَبَّ السَّمَوَاتِ السَّبْعِ وَمَا أَظَلَّتْ وَرَبَّ الأَرَضِينَ وَمَا أَقَلَّتْ وَرَبَّ الشَّيَاطِينِ وَمَا أَضَلَّتْ كُنْ لِي جَارًا مِنْ شَرِّ خَلْقِكَ كُلِّهِمْ جَمِيعًا أَنْ يَفْرُطَ عَلَىَّ أَحَدٌ مِنْهُمْ أَوْ أَنْ يَبْغِيَ عَلَىَّ عَزَّ جَارُكَ وَجَلَّ ثَنَاؤُكَ وَلاَ إِلَهَ غَيْرُكَ وَلاَ إِلَهَ إِلاَّ أَنْتَ
বাংলা উচ্চারণ : আল্লাহুম্মা রাব্বাস সামাওয়াতিস সাবয়ি ওয়া মা আজাল্লাত, ওয়া রাব্বাল আরদিনা ওয়া মা আকাল্লাত; ওয়া রাব্বাশ শায়াত্বিনি ওয়া মা আদাল্লাত; কুন লি জারাম-মিন শাররি খালক্বিকা কুল্লিহিম জামিআ— আইঁ ইয়াফরুত্বা আলাইয়্যা আহাদুম মিনহুম আও আইঁ ইয়াবগিয়া আলাইয়্যা, আজ্জা জারুকা ওয়া জাল্লা ছানাউকা, ওয়ালা ইলাহা গাইরুকা, ওয়ালা ইলাহা ইল্লা আংতা।
অর্থ : হে আল্লাহ, সপ্ত আকাশ এবং যা কিছুর ওপর তা ছায়া দেয় সেসব কিছুর রব! জমিনগুলো এবং যা কিছু তা বহন করছে সে সব কিছুর প্রতিপালক! শয়তান ও যাদের সে গুমরাহ করে তাদের প্রতিপালক! তোমার সব সৃষ্টির অনিষ্ট থেকে তুমি আমার আশ্রয় হও, এদের কেউ যেন আমার ওপর কর্তৃত্ব চালাতে (বা বাড়াবাড়ি করতে) বা বিরুদ্ধাচরণ করতে না পারে। হে সম্মানিত, তোমার আশ্রয়প্রার্থী, সুমহান তোমার প্রশংসা, তুমি ছাড়া কোনো উপাস্য নেই, তুমি ব্যতীত কোনো ইলাহ নেই। (আল কালিমুত তাইয়্যিব : ৪৭/৩৩, তিরমিজি : ৩৫২৩)
যদি অনিদ্রায় ভুগেন, নবীজীর আরেকটি দোয়া রয়েছে, যা শান্তি ও নিরাপদ ঘুমে সহায়ক। এতে সাত আকাশ, জমিন ও শয়তানের শক্তি থেকে আল্লাহর আশ্রয় প্রার্থনা করা হয়।
সিএনআই/২৫