
রংপুরের ব্যবসায়ী আশরাফুল হককে হত্যার পর মরদেহ একই ঘরে রেখে রাত কাটানো এবং পরবর্তীতে শারীরিক সম্পর্কের ঘটনায় চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে। র্যাবের তথ্য অনুযায়ী, শামীমা আক্তার ওরফে কোহিনুর ও আশরাফুলের ঘনিষ্ঠ বন্ধু জরেজ এক বছর ধরে প্রেমের সম্পর্কের প্ররোচনায় আশরাফুলকে ঢাকায় ডেকে আনে। পরিকল্পনা অনুযায়ী শামীমা আশরাফুলের শরবতের সঙ্গে ঘুমের ওষুধ মেশান এবং তার অন্তরঙ্গ ভিডিও ধারণ করে।

অচেতন হওয়া আশরাফুলকে জরেজ হাতুড়ি দিয়ে হত্যা করে, শ্বাসরোধ ও অতিরিক্ত আঘাতের ফলে সে ঘটনাস্থলেই মারা যায়। পরে মরদেহ একই ঘরে রেখে রাত কাটান তারা এবং পরদিন স্থানীয় বাজার থেকে চাপাতি ও ড্রাম এনে লাশটি ২৬ টুকরা করে ড্রামে ভরে সড়কের পাশে ফেলে দ্রুত পালিয়ে যান।

র্যাব জানিয়েছে, হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত দড়ি, কসটেপ, চাপাতি ও রক্তমাখা পোশাক উদ্ধার করা হয়েছে। মূল আসামি জরেজকে জিজ্ঞাসাবাদ করে হত্যাকাণ্ডে পূর্বশত্রুতা বা অন্য কোনো কারণ আছে কি না তা জানা হবে। আশরাফুলের বোন আনজিরা বেগম শাহবাগ থানায় মামলা দায়ের করেছেন।