রাজধানীর বাজারে এক মাস ধরে চালের দাম স্থিতিশীল থাকলেও উচ্চমূল্য থেকে নামছে না। পাইকারি বাজারে কোনো চাল ৫৮ টাকার নিচে মিলছে না, আর খুচরা বাজারে ক্রেতাদের দিতে হচ্ছে কেজিপ্রতি ৬০ থেকে ৬৫ টাকা।
অন্যদিকে, পেঁয়াজের দাম লাফিয়ে বেড়ে এখন কেজিপ্রতি ১২০ টাকায় উঠেছে। কয়েক সপ্তাহ আগেও এটি ৮০ টাকার নিচে বিক্রি হচ্ছিল।
শুক্রবার (৭ নভেম্বর) রাজধানীর কারওয়ান বাজারে দেখা গেছে, পাইকারিতে পাইজাম ও আটাশ চাল বিক্রি হচ্ছে ৫৮ থেকে ৬০ টাকায়, মিনিকেট ৭৬ থেকে ৮০ টাকায়। খুচরায় দাম আরও ৫ টাকা বেশি।
চাটখিল রাইস এজেন্সির বিক্রেতা বেলাল হোসেন বলেন, “এখন চালের দাম আগের মতোই আছে। দেড়-দুই মাস আগে কিছুটা বেড়েছিল, এখনো সেই দামে বিক্রি হচ্ছে।”
তবে পেঁয়াজ বিক্রেতা আল আমিন বলেন, “সরবরাহ কম থাকায় দাম বাড়ছে। সামনে আরও বাড়তে পারে, তাই আমদানি জরুরি।”
ক্রেতারা হঠাৎ দামবৃদ্ধিতে হতবাক। ক্রেতা হোসেন আলী বলেন, “৮০ থেকে ৯০ টাকা পর্যন্ত স্বাভাবিক ছিল, কিন্তু এত দ্রুত ১২০ টাকা হয়ে গেল, বুঝতেই পারছি না।”
পাড়া-মহল্লায় পেঁয়াজের দাম আরও বেশি, কেজিপ্রতি ১৩০ টাকা পর্যন্ত গিয়েছে। তবে কিছু পণ্যের দাম কমেছে — আলু বিক্রি হচ্ছে ২০ টাকায়, ফুলকপি ও বাঁধাকপি প্রতিটি ৩০ টাকায়।
আদা-রসুনের দাম অপরিবর্তিত। চায়না রসুন ১৬০, দেশি রসুন ৮০–১০০, থাই আদা ২০০ এবং চায়না আদা ১৮০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে।
মাছের দাম কিছুটা বেড়েছে। পাঙাশ ও তেলাপিয়া ১৯০–২০০, চাষের কৈ ২০০, পাবদা ৪০০, এবং রুই মাছ আকারভেদে ২৮০–৩৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
সবজির বাজারে মিশ্র চিত্র —
পটোল, চিচিঙ্গা, ঢ্যাঁড়শ: ৫০–৬০ টাকা
বেগুন: ৫০–১৪০ টাকার মধ্যে
বরবটি: ৮০–৯০ টাকা
লাউ: ৫০–৬০ টাকা
মরিচ: ১২০ টাকা
শিম: ৬০–৭০ টাকা
অন্যদিকে, ডিম ও মুরগির দাম অপরিবর্তিত। প্রতি ডজন ডিম ১৩০ টাকা, ব্রয়লার মুরগি ১৭০, সোনালি ২৭০–২৮০ এবং হাইব্রিড সোনালি ২৫০ টাকা কেজি।
মাংসের বাজারেও কোনো পরিবর্তন নেই —
গরু ৭৫০, খাসি ১২০০ এবং ছাগল ১১০০ টাকা কেজি।
সিএনআই/২৫