
ঢাকায় জাস্টিস ফর অল-এর নেতৃত্বে আন্তর্জাতিক প্রতিনিধিদল বাংলাদেশ সরকারকে রোহিঙ্গা শরণার্থীদের জন্য একটি সুসংহত, স্বীকৃত ও অন্তর্ভুক্তিমূলক শিক্ষা কাঠামো গ্রহণের আহ্বান জানিয়েছে। ঢাকার গোল্ডেন টিউলিপ - দ্য গ্র্যান্ডমার্ক হোটেলে বুধবার (৫ নভেম্বর) অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে প্রতিনিধিদল রোহিঙ্গা নারীদের শিক্ষার অভাব ও শিক্ষার গুরুত্ব নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেছেন।
প্রধান বক্তারা ছিলেন নাদিন মাঞ্জা (USCIRF-এর সাবেক চেয়ার), রিচার্ড রিওচ (অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল-এর সাবেক মুখপাত্র), সামীর হোসেন (পাথফাউন্ডার পলিসি স্ট্র্যাটেজিস), এবং ইমাম আব্দুল মালিক মুজাহিদ (জাস্টিস ফর অল-এর চেয়ারম্যান)। তারা তিনটি সুপারিশ উপস্থাপন করেন:
১. রোহিঙ্গাদের শিক্ষার জন্য জাতীয় একটি একীভূত নীতিমালা গ্রহণ;
২. স্বীকৃত সার্টিফিকেশন ব্যবস্থা চালু করা, যা উচ্চশিক্ষা ও কর্মসংস্থানের সুযোগ বাড়াবে;
৩. মার্কিন মুসলিম ত্রাণ সংস্থাগুলোকে শিক্ষা উদ্যোগে অংশগ্রহণের সুযোগ দেওয়া।
প্রতিনিধিদলের অনুসন্ধান ও মাঠ পরিদর্শনের ভিত্তিতে জানা যায়, কক্সবাজারের রোহিঙ্গা নারীদের ৯৭ শতাংশই শিক্ষার বাইরে রয়েছে। নাদিন মাঞ্জা বলেন, “শিক্ষা কেবল মানবিক দায়িত্ব নয়, এটি দীর্ঘমেয়াদি স্থিতিশীলতার জন্য কৌশলগত বিনিয়োগ।” রিচার্ড রিওচ যোগ করেন, “শিক্ষা রোহিঙ্গা শিশুদের নতুন জীবনের পাসপোর্ট।”
প্রতিনিধিদল বাংলাদেশের সহানুভূতি এবং রোহিঙ্গাদের জন্য ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনারের সহায়তাকে প্রশংসা করেছে। ইমাম মুজাহিদ বলেন, “আমরা বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে অংশীদারিত্বে কাজ করতে প্রস্তুত, যাতে যুক্তরাষ্ট্রের মুসলিম সম্প্রদায়ের দানশীলতা শিক্ষার জন্য কাজে লাগানো যায় এবং কোনো শিশুই পিছিয়ে না থাকে।”
জাস্টিস ফর অল – বার্মা টাস্ক ফোর্স বিশ্বব্যাপী সংখ্যালঘু অধিকার রক্ষায় কাজ করে এবং রোহিঙ্গাদের জন্য নীতি প্রভাব ও মানবিক অংশীদারিত্বের মাধ্যমে দীর্ঘমেয়াদি সমাধান নিয়ে কাজ করে।
সিএনআই/২৫