বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, ২০৩৪ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে একটি অন্তর্ভুক্তিমূলক ট্রিলিয়ন ডলারের অর্থনীতিতে রূপান্তর করা বিএনপির লক্ষ্য। এতে লাখ লাখ নতুন কর্মসংস্থান সৃষ্টি হবে এবং নারীদের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করা হবে।
বৃহস্পতিবার সকালে নিজের ফেসবুক পোস্টে তিনি এই দৃষ্টিভঙ্গি তুলে ধরেন। তারেক রহমান বলেন, “আমাদের লক্ষ্য এমন এক বাংলাদেশ গড়া যেখানে প্রতিটি নাগরিক—বিশেষ করে নারী—গর্বের সঙ্গে দেশের প্রবৃদ্ধিতে অবদান রাখবে।”
তিনি উল্লেখ করেন, বর্তমানে বাংলাদেশে পুরুষদের ৮০ শতাংশ কর্মজীবী হলেও নারীদের অংশগ্রহণ মাত্র ৪৩ শতাংশ। এই ব্যবধান দূর করতে শিশু পরিচর্যা ব্যবস্থাকে জাতীয় অর্থনৈতিক কৌশলের অংশ করার প্রস্তাব দেন তিনি।
তার পরিকল্পনায় রয়েছে—সব সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে ডে-কেয়ার সেন্টার স্থাপন, সরকারি অফিসগুলোতে ধাপে ধাপে শিশু পরিচর্যা কেন্দ্র গড়া, বড় বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে বাধ্যতামূলক ডে-কেয়ার ব্যবস্থা, শিশু পরিচর্যা সুবিধা প্রদানকারীদের জন্য কর ছাড় এবং প্রশিক্ষিত কেয়ারগিভার তৈরির উদ্যোগ।
তিনি বলেন, এই সংস্কার বাস্তবায়িত হলে নারীর কর্মসংস্থান বাড়বে, পরিবারিক আয় বৃদ্ধি পাবে এবং জিডিপিতে অন্তত ১ শতাংশ প্রবৃদ্ধি যোগ হবে।
তারেক রহমান আরও বলেন, “শিশু পরিচর্যা কোনো দয়া নয়; এটি সামাজিক ও অর্থনৈতিক অবকাঠামোর অপরিহার্য অংশ। যেমন সড়ক বাজারকে সংযুক্ত করে, তেমনি ডে-কেয়ার সেন্টার নারীদের কর্মজীবনে সাফল্যের সঙ্গে যুক্ত করে।”
তিনি নারীর সমান মজুরি, কর্মক্ষেত্রে নিরাপত্তা এবং শিশু পরিচর্যার সুযোগকে আধুনিক অর্থনীতির মৌলিক উপাদান হিসেবে উল্লেখ করেন।
তারেক রহমানের ভাষায়, “আমরা এমন যেকোনো ধারণা প্রত্যাখ্যান করি যা নারীর সম্ভাবনাকে সীমাবদ্ধ করে। ২০৩৪ সালের মধ্যে ট্রিলিয়ন ডলারের অর্থনীতি গড়ে তুলব, যেখানে প্রতিটি নারী ও পুরুষ সমানভাবে দেশের অগ্রগতিতে অংশ নেবে।”

শেষে তিনি আহ্বান জানান, “আসুন এমন একটি বাংলাদেশ গড়ি, যেখানে প্রতিটি মা ও ছাত্রী নিজের সাফল্যের স্বাধীনতা পায়, আর যত্ন ও সহযোগিতাই হয়ে ওঠে জাতীয় অগ্রগতির ভিত্তি।”
সিএনআই/২৫