
বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের এমপিওভুক্ত শিক্ষক–কর্মচারীরা বাড়িভাড়া ও অন্যান্য সুযোগ–সুবিধা বৃদ্ধির দাবিতে ঢাকার রাস্তায় টানা ১০ দিন ধরে আন্দোলন করছেন। শিক্ষাবিদ রাশেদা কে চৌধূরী বলেন, “যাঁরা জাতির ভবিষ্যৎ গড়েন, তাঁদের জন্য সুবিধা বাড়ানোও প্রয়োজন; সরকারি কর্মকর্তাদের বেতন–ভাতা বাড়ানোর মতোই বেসরকারি শিক্ষকদের জন্যও প্রাসঙ্গিক পদক্ষেপ করা উচিত।”
তিনি উল্লেখ করেন, শিক্ষা উপদেষ্টা অধ্যাপক সি আর আবরার বিষয়টি অর্থ মন্ত্রণালয়ে প্রস্তাব পাঠিয়েছেন, কিন্তু প্রস্তাব আটকে ছিল। সরকারের সাম্প্রতিক সিদ্ধান্তে এমপিওভুক্ত শিক্ষক–কর্মচারীদের বাড়িভাড়া ১৫ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে, যা দুই ধাপে কার্যকর হবে। রাশেদা আশা করেন, ভবিষ্যতের যে কোনো সরকার শিক্ষাকে রাজনৈতিক না দেখে মানবসম্পদ গঠনের লক্ষ্যকে গুরুত্ব দেবে।
তিনি আরও বলেন, জাতীয়করণ সমাধান হতে পারে, তবে তা একমাত্র উপায় নয়; মানসম্মত শিক্ষা নিশ্চিত করতে শিক্ষার্থী ও অভিভাবকের দিকও ভাবতে হবে। এছাড়া অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত শিক্ষাকে অবৈতনিক করা সম্ভব; ধীরে ধীরে তা দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত সম্প্রসারণ করা উচিত। নতুন শিক্ষা কমিশন গঠনেরও সময় এসেছে।