চলতি বছরের উচ্চমাধ্যমিক সার্টিফিকেট (এইচএসসি) ও সমমান পরীক্ষার ফল প্রকাশ হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১৬ অক্টোবর) সকাল ১০টায় একযোগে অনলাইন এবং নিজ নিজ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে এ ফল প্রকাশ করা হয়।
প্রকাশিত ফলাফল অনুযায়ী, এবার এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষায় অংশ নেন ১২ লাখ ৩৫ হাজার ৬৬১ জন শিক্ষার্থী। তাদের মধ্যে পাস করেছেন ৭ লাখ ২৬ হাজার ৯৬০ জন শিক্ষার্থী। গড় পাসের হার ৫৮ দশমিক ৮৩ শতাংশ। আর ফেল করেছেন ৫ লাখ ৮ হাজার ৭০১ জন। গড় ফেলের হার ৪১ দশমিক ১৭ শতাংশ।
এবার সারা দেশে জিপিএ-৫ পেয়েছেন ৬৯ হাজার ৯৭ জন। গত বছর জিপিএ-৫ পেয়েছিলেন এক লাখ ৪৫ হাজার ৯১১ জন। সে হিসাবে এবার জিপিএ-৫ পাওয়া শিক্ষার্থীর সংখ্যা কমেছে ৭৬ হাজার ৮১৪ জন।
এই ফলাফল ভালো নাকি খারাপ হয়েছে, তা বলতে চান না বাংলাদেশ আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় কমিটির সভাপতি ও ঢাকা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. খন্দোকার এহসানুল কবির। তার ভাষ্য, ‘ভালো নাকি খারাপ হয়েছে, তা বলব না। তবে এটাই রিয়েল (বাস্তব) ফলাফল।’
বৃহস্পতিবার এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষার ফলাফলের বিভিন্ন দিক নিয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
ড. খন্দোকার এহসানুল কবির বলেন, ‘শিক্ষার্থীদের অকৃতকার্য হওয়ার বিষয়টি কাঙ্ক্ষিত নয়। যারা পাস করতে পারেনি, তাদের ডেকে উৎসাহ দিতে হবে। আগামীতে তারা যেন ভালো করে। আমরা প্রত্যাশা করি, আগামী বছর এ সময়টি যাতে তাদের উৎসবমুখর দিন হিসেবে কাটে।’
তিনি বলেন, ফলাফলের ভালো ও মন্দ একটি তুলনামূলক বিষয়। তবে হ্যাঁ, এবারের ফলাফল নিয়ে আমাদের ভাবতে হবে। স্কুল থেকে বোর্ড পর্যন্ত ফলাফলের পরিসংখ্যান নিয়ে বসতে হবে। কেন কাঙ্ক্ষিত ফলাফল হচ্ছে না, সেটা খুঁজে বের করতে হবে। অনেকে ফেল করেছে, তাদের ব্যাপারে আমাদের আরও ইতিবাচক চিন্তা করতে হবে।’
খাতা মূল্যায়নে কঠোর হতে পরীক্ষকদের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছিল কি না, এমন প্রশ্নের জবাবে এহসানুল কবির বলেন, শিক্ষা বোর্ড থেকে নম্বর দেওয়ার ব্যাপারে পরীক্ষকদের কোনো নির্দেশনা ছিল না। ফলে শিক্ষার্থীরা যা লিখেছে, সেটারই সঠিক মূল্যায়ন হয়েছে। আর পরীক্ষকদের দেওয়া নম্বরগুলো শুধু আমরা কম্পাইলড করেছি, ফল প্রস্তুত করেছি। তারপর ফলাফল প্রকাশ হচ্ছে।
শিক্ষার্থীরা ইংরেজি, আইসিটি ও উচ্চতর গণিতে খারাপ করেছে জানিয়ে ঢাকা বোর্ডের চেয়ারম্যান বলেন, কয়েকটি বিষয়ে শিক্ষার্থীরা ভালো করতে পারেনি। সেটা সার্বিক ফলাফলে প্রভাব ফেলেছে। তবে শহরের তুলনায় গ্রামের দিকের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ফলাফল বেশি খারাপ হয়েছে। সমৃদ্ধ অঞ্চলের (শহর) ফলাফল স্বাভাবিকভাবেই ভালো হয়।