গাঁটের ব্যথায় অস্থির? ইউরিক অ্যাসিড কমাতে কী খাবেন?
তখন অতিরিক্ত ইউরিক অ্যাসিড জমা হতে থাকে শরীরের বিভিন্ন গাঁটে। যাকে বলে গাউট। এটা সাধারণত পায়ের বুড়ো আঙুল বা গোড়ালিতেই দেখা দেয়। এই গাউটের ব্যথা অসহ্যকর হয়। হাঁটাচলা করতে খুব সমস্যা হয়। ইউরিক অ্যাসিড নিয়ন্ত্রণে রাখতে ওষুধ খেতেই হবে। তবে এর সঙ্গে কিছু খাবারের উপরও জোর দিন।

সবার শরীরেই ইউরিক অ্যাসিড আছে। তাই এই উপাদানটি নিয়ে ভয় পাওয়ার কিছু নেই। কিন্তু এই ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা যদি অত্যধিক বেড়ে যায় তাহলে তা ক্ষতির কারণ হতে পারে। এর মাত্রা বেড়ে গেলে এটি শরীরের বিভিন্ন গাঁট বা জয়েন্টে জমতে থাকে।

সাধারণত পায়ের বুড়ো আঙুল বা গোড়ালিতে এই সমস্যা বেশি দেখা যায়। এই গাঁটের ব্যথা অসহ্যকর হয়। শীত এলে যা আরও বাড়ে। গাঁটের ব্যথা হলে হাঁটাচলা করতে খুব সমস্যা হয়। অনেকেই ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে নিয়মিত ওষুধ খান। এর পাশাপাশি কিছু খাবার খেতে পারেন। চলুন বিস্তারিত জেনে নিই- জেনে নিই-

পানির বিকল্প নেই
শরীরে জমে থাকা অতিরিক্ত ইউরিক অ্যাসিড যেভাবেই হোক বের করতেই হবে। এক্ষেত্রে পানির বিকল্প নেই। দিনে অন্তত ৩ থেকে ৪ লিটার পানি পান করুন। পর্যাপ্ত পানি শরীরে জমে থাকা সব টক্সিন প্রস্রাবের মাধ্যমে বের করে দেয়। এর মধ্যে ইউরিক অ্যাসিডও রয়েছে।

মাছ পাতে রাখুন
অনেকে মনে করেন, ইউরিক অ্যাসিড বাড়লে মাছ-মাংসের লোভ ত্যাগ করতে হবে। কিন্তু পুষ্টিবিদরা বলছেন ভিন্ন কথা। তাদের মতে, ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা কমাতে ভরসা রাখতে পারেন মাছে। বিশেষত ছোট মাছ খেলে বেশি উপকার পাওয়া যায়। মরৌলা, কই, পাবদা মাছ খেতে পারেন। এই ধরনের মাছে ফ্যাট ও প্রোটিনের পরিমাণ কম থাকে। স্বাস্থ্যের জন্য ভীষণ উপকারি ছোট মাছ।

সেদ্ধ ডিম খান
ডিম হলো সুপারফুড। প্রয়োজনীয় সব পুষ্টিই মিলবে এতে। প্রয়োজনে ডিমের কুসুম বাদ দিয়ে সাদা অংশ খেতে পারেন। তবে ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা বেশি থাকলে একটার বেশি ডিম না খাওয়াই ভালো।

মুরগির মাংস খেতে পারেন
ইউরিক অ্যাসিড বাড়লে খাসির মাংস খাওয়া যাবে না। কিন্তু মুরগির মাংস খেতে পারবেন। শরীরে প্রোটিনের ঘাটতি মেটায় মুরগির মাংস। কিন্তু ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা বাড়ায় না এটি। তাই বলে খুব বেশি মুরগির মাংস খাওয়া উচিত নয়। প্রতিদিন ১০০-১৫০ গ্রাম মাংস খেতে পারেন।
-

ফলের বিকল্প নেই
গাঁটের ব্যথায় কষ্ট পেলে ফল খান। ভিটামিন সি সমৃদ্ধ ফল ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা কমাতে সাহায্য করে। এক্ষেত্রে লেবুজাতীয় ফল খেতে পারেন। এছাড়া খেতে পারেন তরমুজ, আনারস, শসার মতো ফল। এসব ফলে অনেক বেশি পরিমাণ পানি থাকে। এগুলো শরীর থেকে অতিরিক্ত ইউরিক অ্যাসিড বের করে দিতে সক্ষম।

ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা কমাতে খাদ্যাভ্যাস বড় ভূমিকা রাখে। তাই সঠিক খাবার খেতে চেষ্টা করুন।