বেশিরভাগ নারীই নিজের স্বাস্থ্য সম্পর্কে উদাসীন থাকেন। তাই নানা শারীরিক জটিলতা তাদের সঙ্গী হয়। ৪০ না পেরোতেই অসংখ্য নারী নানা অঙ্গের ব্যথায় জর্জরিত হন। পুরুষদের তুলনায় নারীরাই বাতের ব্যথায় বেশি ভোগেন। কিন্তু কেন?
চিকিৎসকরা বলছেন, নারী ও পুরুষদের মধ্যে হরমোনের পার্থক্য রয়েছে। অনেকে মনে করেন, বাতের ব্যথা নিয়ন্ত্রণে রাখতে ইস্ট্রোজেন ও প্রোজেস্টেরন যথেষ্ট ভূমিকা রাখে। আবার কারো কারো মতে, এই ধরনের ব্যথার ক্ষেত্রে পারিবারিক ইতিহাস বা জিন অনেকাংশে দায়ী। আর কী কারণে নারীদের বাতের ব্যথা হয় জানুন-
১. হরমোনের হেরফের:
বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে কমতে শুরু করে ইস্ট্রোজেন হরমোনের মাত্রা। মেনোপজ অর্থাৎ, ঋতুচক্র একেবারে বন্ধ হয়ে গেলে হরমোনের মাত্রা আচমকা অনেকটা কমে যায়। চিকিৎসকদের মতে, হাড়ের ক্ষয় বেড়ে যাওয়ার অন্যতম কারণ এটি।
২. অটোইমিউন প্রিডিসপজিশন:
পুরুষদের তুলনায় নারীদের ইমিউন রেসপন্স অনেক ভালো। যেকোনো ধরনের সংক্রমণ ঠেকাতে সাহায্য করে এই ব্যবস্থা। কিন্তু একইসঙ্গে অটোইমিউন ডিজিজে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বেড়ে যায়। রিউমাটয়েড আর্থ্রাইটিস এমনই একটি সমস্যা।
৩. জয়েন্ট স্ট্রাকচার
জন্মগতভাবেই নারীদের হাড়ের গঠন একটু চওড়া এবং অস্থিসন্ধি বেশি নমনীয় হয়ে থাকে। বয়স বাড়লে বাড়ে মেদের পরিমাণও। দুইয়ে মিলে কোমর ও হাঁটুর অবস্থা আরও শোচনীয় করে তোলে। বয়স বাড়লে তা পরিণত হয় অস্টিয়োআর্থ্রাইটিসে।
৪. সন্তানধারণ
সন্তান প্রসব করার পরেও হরমোনে অনেক পার্থক্য হয়। শারীরিক এবং মানসিক, দু’ক্ষেত্রেই পরিবর্তন আসে। সন্তানধারণ করার সময়ে কোমর, পায়ের হাড়ে অতিরিক্ত চাপ পড়ে। এর ফলেও হাড় দুর্বল হয়ে পড়ে।
৫. ওজন বৃদ্ধি
আর্থরাইটিসের অন্যতম কারণ দেহের বাড়তি ওজন। একটা বয়সের পর অনেক নারীর শরীরের নীচের ভাগ ভারী হতে শুরু করে। তখন পুরো দেহের চাপ পড়ে হাঁটু ও কোমরের অস্থিসন্ধির ওপর। এর থেকেই যন্ত্রণা বাড়ে।