ইসলামে কবর জিয়ারত একটি গুরুত্বপূর্ণ সুন্নত হিসেবে বিবেচিত হয়। হাদিসের বর্ণনা অনুযায়ী, রাসুল (স.) নিয়মিত মদিনার জান্নাতুল বাকি কবরস্থানে গিয়ে মৃত মুসলমানদের জন্য দোয়া ও ক্ষমা প্রার্থনা করতেন।
কবর জিয়ারতের ফজিলত
ইসলামিক স্কলারদের মতে, কবর জিয়ারত মুমিনদের জন্য পরকালের স্মৃতি জাগ্রতকারী একটি গুরুত্বপূর্ণ ইবাদত। এ মাধ্যমে মৃতদের জন্য দোয়া করা হয় এবং নিজের মৃত্যুকে স্মরণ করা হয়। নবীজি (স.) বলেছেন, ‘আমি আগে কবর জিয়ারত করতে নিষেধ করতাম, এখন তোমরা জিয়ারত করো; কারণ এটি মৃত্যুর স্মরণ করিয়ে দেয়।’ (সুনানে নাসায়ি: ১৫৬৪) হাদিসে আরও এসেছে, ‘যখন কেউ মৃতের জন্য দোয়া করে, আল্লাহ তাআলা তার শাস্তি লাঘব করে দেন।’ (মুসনাদে আহমাদ: ২/৫০৯)
পবিত্রতা সংক্রান্ত নির্দেশনা
ইসলামি আইনজ্ঞরা বলেন, কবর জিয়ারতের সময় পবিত্রতা বজায় রাখা উত্তম ও উচিত। তবে কোনো কারণে গোসল ফরজ অবস্থায় কেউ কবর জিয়ারত করলে তা জায়েজ আছে, তবে এ অবস্থায় কোরআন তেলাওয়াত থেকে বিরত থাকতে হবে।
হজরত আলী (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুল (স.) বলতেন, ‘রাসুলুল্লাহ (স.) আমাদের কোরআন শিক্ষা দিতেন, যতক্ষণ না তিনি জুনুবি হতেন।’ (মুসনাদে আহমদ: ৬২৭, তিরমিজি: ১৪৬, সহিহ ইবনে হিব্বান: ৭৯৯)
বিশেষ নোট
কবর জিয়ারতের সময় বিশেষ দোয়া ও ইস্তেগফার পাঠের মাধ্যমে আল্লাহর রহমত ও ক্ষমা কামনার পরামর্শ দেন ইসলামি বিশেষজ্ঞরা। এ সময় পরকালের কথা স্মরণ করে নিজের জীবনকে সংশোধনের চেষ্টা করাও কবর জিয়ারতের অন্যতম উদ্দেশ্য।
(ফতোয়ায়ে সিরাজিয়া, পৃ. ৮; আদ্দুররুল মুখতার:১/২৯৩; ফতোয়ায়ে হিন্দিয়া: ১/৩৮; ফতোয়ায়ে তাতারখানিয়া: ১/৪৮১)