বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ে (ববি) ছয়টি অনুষদে ৯ হাজার ৭১ জন শিক্ষার্থী পড়াশোনা করছেন, কিন্তু শিক্ষক রয়েছেন মাত্র ২২৫ জন। এর মধ্যে অধ্যাপক আছেন মাত্র একজন। সহযোগী অধ্যাপক ৬০ জন, সহকারী অধ্যাপক ১৩৫ জন এবং প্রভাষক ২৯ জন। ফলে বিশ্ববিদ্যালয়টির শিক্ষক-শিক্ষার্থী অনুপাত দাঁড়িয়েছে ১:৪০—যা আন্তর্জাতিক মানদণ্ডের প্রায় দ্বিগুণ।
বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) ২০২৩ সালের সর্বশেষ বার্ষিক প্রতিবেদনে দেখা গেছে, দেশের ৪৮টি সরকারি ও বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের কোনোটি-ই শিক্ষক-শিক্ষার্থী অনুপাতে আন্তর্জাতিক মানে পৌঁছাতে পারেনি। অনেক বিশ্ববিদ্যালয়ে এমনকি একজন অধ্যাপকও নেই।
ইউজিসির ৫০তম বার্ষিক প্রতিবেদনটি চলতি বছরের মার্চে প্রকাশ করা হলেও এর প্রিন্ট সংস্করণ সম্প্রতি প্রকাশিত হয়েছে।
শিক্ষাবিদ ও উপাচার্যরা বলছেন, উচ্চ শিক্ষার মান নিয়ে আলোচনা হওয়া দরকার। তবে দেশের আর্থসামাজিক বাস্তবতা এবং শিক্ষক নিয়োগের জটিলতাও বিবেচনা করতে হবে। তাদের মতে, শিক্ষক-শিক্ষার্থী অনুপাত যত কম হবে, শিক্ষা তত মানসম্মত হবে।
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. রেজাউল করিম বলেন, “উচ্চ শিক্ষার মান নিয়ে প্রশ্ন উঠতেই পারে। শিক্ষকের অনুপাত ও সুযোগ-সুবিধা মানসম্মত হওয়া জরুরি।”
প্রতিবেদন অনুযায়ী, দেশের ৫০টি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে ৪৫টির শিক্ষক-শিক্ষার্থী অনুপাত প্রকাশ করা হয়েছে। এর মধ্যে ১৩টি বিশ্ববিদ্যালয় আন্তর্জাতিক মানদণ্ডে পিছিয়ে আছে। অপরদিকে, ১১০টি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে ৩৫টির শিক্ষক-শিক্ষার্থী অনুপাতও আন্তর্জাতিক মান পূরণ করতে পারেনি।