১৪ ওভার ৪ বল, ৯৮ রান তুলতেই ৮ উইকেট নেই আফগানিস্তানের; এভাবে বাগে পেয়েও অবশ্য আফগানিস্তানকে অলআউট করতে পারেনি বাংলাদেশ। শেষ ৩২ বলে মাত্র ১ উইকেট হারিয়ে ৪৫ রান করেছে আফগানরা। তাতে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৯ উইকেট হারানো আফগানদের রান দাঁড়ায় ১৪৩।
শারজায় ব্যাট করতে নেমে আগের দুই ম্যাচের মতো আজও সুবিধা করতে পারেনি আফগানিস্তান। পাওয়ার প্লের ৬ ওভারের মধ্যেই ফিরে গেছেন ইব্রাহিম জাদরান, রাহমানুল্লাহ গুরবাজ ও ওয়াফিউল্লাহ তারাখিল। এই সময়ে মাত্র ৩৯ রান করে দলটি।
চতুর্থ উইকেটে প্রতিরোধ গড়ে ৩৪ রানের জুটি গড়েন সেদিকুল্লাহ আতাল ও দরবেশ রাসুলি। ৭৩ রানের মাথায় আতাল (২৩ বলে ২৮) ফিরলে আফগানিস্তান ইনিংসে শুরু হয় মড়ক। ৭৩ থেকে ৯৮—১৫ রানের মধ্যেই ৫ উইকেট হারায় দলটি। আতালের পর একে একে ফিরে যান আজমাতুল্লাহ ওমারজাই, মোহাম্মদ নবি, রশিদ খান ও আবদোল্লাহ আহমাদজাই।
নবম উইকেটে ইনিংসের সবচেয়ে বড় জুটি (যৌথভাবে) গড়ে আফগানরা। শেষদিকে মুজিব উর রহমানকে নিয়ে ৩৪ রান যোগ করেন রাসুলি। ১৮.২ ওভারে দলীয় ১৩২ রানের মাথায় রাসুলি ফিরলে ভাঙে এই জুটি। ২৯ বলে ২টি চার ও ১ ছক্কায় দলের সর্বোচ্চ ৩২ রান করেন তিনি। রাসুলি ফিরলেও ১১ নম্বরে নামা বশির আহমেদকে নিয়ে বাকি সময়টুকু পার করে দেন মুজিব। শেষ পর্যন্ত ১৮ বলে ৪টি চারে ২৩ রানে অপরাজিত ছিলেন তিনি।
৩ ওভারে মাত্র ১৫ রানের বিনিময়ে ৩ উইকেট নিয়ে বাংলাদেশের সবচেয়ে সফল বোলার মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন। ৪ ওভারের বোলিং কোটা পূর্ণ করে সমান ২৪ রান দিয়ে ২টি করে উইকেট নেন তানজিম হাসান সাকিব ও নাসুম আহমেদ। এছাড়া শরিফুল ইসলাম ৩৩ রান খরচায় ও রিশাদ ৩৯ রান খরচায় ১টি উইকেট শিকার করেন।