সানজিদা খানম ঊর্মি, গবি সংবাদদাতা: নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থীর পবিত্র কুরআন অবমাননার ঘটনাকে কেন্দ্র করে গণ বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (গকসু) ও সাধারণ শিক্ষার্থীরা প্রতিবাদ কর্মসূচি পালন করেছে।
রবিবার (৫ অক্টোবর) বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক ভবনের সামনে অনুষ্ঠিত অবস্থান কর্মসূচিতে তারা ঘটনার দ্রুত ও নিরপেক্ষ তদন্ত এবং দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান।
ফার্মেসি বিভাগের শিক্ষার্থী অনিক তরফদার বলেন, “আমরা ভিন্ন ধর্মের হলেও একসাথে মিলেমিশে বসবাস করি। সবার উচিত একে অপরের ধর্মকে সম্মান করা। এ ধরনের ঘটনা অত্যন্ত নিন্দনীয়, এবং আমরা এর সর্বোচ্চ শাস্তি দাবি করছি।”
গকসুর সহ-সভাপতি (ভিপি) ইয়াছিন আল মৃদূল দেওয়ান বলেন, “পবিত্র কুরআন অবমাননার ঘটনায় আমাদের অন্তরে গভীর আঘাত লেগেছে। এটি শুধু মুসলমানদের ধর্মীয় অনুভূতির ওপর আঘাত নয়, বরং বাংলাদেশের শান্তিপূর্ণ ও সম্প্রীতিমূলক পরিবেশ নষ্ট করার চেষ্টা। মানসিক অসুস্থতা বা অন্যান্য অজুহাতে ঘটনাকে হালকাভাবে নেওয়া যাবে না। দ্রুত তদন্ত করে দেশি-বিদেশি কোনো সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর সংশ্লিষ্টতা আছে কিনা তাও খতিয়ে দেখতে হবে।”
গকসুর কোষাধ্যক্ষ খন্দকার আব্দুর রহিম বলেন, “দেশে এ ধরনের ঘটনা আগেও ঘটেছে, কিন্তু সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচার না হওয়ায় দৃষ্টান্ত স্থাপন সম্ভব হয়নি। এবার যেন অপরাধীর সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত হয়, আমরা সেই দাবি জানাই।”
উপস্থিত শিক্ষার্থীরা বলেন, ভবিষ্যতে কেউ যেন ধর্ম অবমাননার সাহস না পায়, সে জন্য আইনি শাস্তি আরও কঠোর করা জরুরি। তারা বাংলাদেশের প্রচলিত আইনে ধর্ম অবমাননার শাস্তির বিধান আরও শক্তিশালী করার আহ্বান জানান।