মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের দেওয়া যুদ্ধবিরতি প্রস্তাবে সাড়া দিয়েছে হামাস।ইসরায়েলি জিম্মিদের মুক্তির ব্যাপারে সম্মত হয়েছে মুক্তিকামী ফিলিস্তিনিদের এই সংগঠন।হামাসের এই অবস্থানের প্রশংসা করছেন বিশ্বনেতারা।
গাজা যুদ্ধ বন্ধে গত ২৯ সেপ্টেম্বর হোয়াইট হাউস থেকে একটি ২০ দফার পরিকল্পনা ঘোষণা করা হয়। প্রস্তাবে উপত্যকাটিতে অবিলম্বে যুদ্ধবিরতি কার্যকর, হামাসের কাছে থাকা সব জিম্মির মুক্তি, বিনিময়ে ইসরায়েলে থাকা ফিলিস্তিনি রাজনৈতিক বন্দীদের মুক্তি, গাজা থেকে ইসরায়েলি সেনাদের ধাপে ধাপে সরে যাওয়া ও হামাসকে নিরস্ত্রীকরণের কথা বলা হয়েছে।
প্রস্তাবে রাজি হয়ে জিম্মিদের মুক্তির ব্যাপারে প্রতিশ্রুতি দিয়েছে হামাস। যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমার বলেছেন, হামাসের মার্কিন শান্তি পরিকল্পনা গ্রহণ করা একটি গুরুত্বপূর্ণ অগ্রগতি। তিনি আরও বলেন, ‘প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের পরিকল্পনা আগের যেকোনো সময়ের চেয়ে শান্তির সবচেয়ে কাছাকাছি আমাদের নিয়ে এসেছে।’
অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী অ্যান্টনি আলবানিজ বলেছেন, ক্যানবেরা গাজায় শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের পরিকল্পনার অগ্রগতিকে স্বাগত জানায়। তিনি হামাসকে ট্রাম্পের পরিকল্পনা গ্রহণ, অস্ত্রসমর্পণ ও বাকি জিম্মিদের অবিলম্বে মুক্তি দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছিলেন।
জাতিসংঘের মহাসচিব অ্যান্থনিও গুতেরেস বলেন, ‘আমি সবপক্ষকে এই সুযোগ গ্রহণের আহ্বান জানাবো। এতে করে গাজায় সংঘাত ও দুর্দশা থামবে। ’
তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রজব তাইয়্যেব এরদোয়ান বলেন, ‘হামাসের এই ইতিবাচক মনোভাব শান্তি প্রতিষ্ঠায় গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ।
জার্মান চ্যান্সেলর ফ্রেডরিখ মাৎর্স বলেছেন, গাজায় এখন জিম্মি মুক্তি ও শান্তি প্রতিষ্ঠার সবচেয়ে বড় সুযোগ সামনে এসেছে।
ফরাসি প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল ম্যাক্রোঁ বলেছেন, ‘জিম্মি মুক্তি ও গাজায় শান্তি এখন আমাদের হাতের কাছে। দ্রুত এই কাজটি বাস্তবায়ন করা উচিত।’
ইতালির প্রধানমন্ত্রী জর্জিয়া মেলনি বলেন, ‘এখন সবচেয়ে জরুরি বিষয় হচ্ছে যুদ্ধবিরত ও জিম্মি মুক্তি। ইতালি তার জায়গ থেকে ভূমিকা রাখতে প্রস্তুত।’