ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর জাতিসংঘে শুক্রবার ভাষণের আগে বিভিন্ন প্রতিনিধিদলের ব্যাপক ওয়াকআউট গাজা যুদ্ধের ফলে ইসরাইলের ‘একঘরে’ হয়ে পড়ার ইঙ্গিত দেয় বলে মন্তব্য করেছে হামাস।হামাসের রাজনৈতিক ব্যুরোর প্রধানের মিডিয়া উপদেষ্টা তাহের আল-নুনু এক বিবৃতিতে বলেন, ‘নেতানিয়াহুর ভাষণ বয়কট করা ইসরাইলের ‘একঘরে’ হয়ে পড়া ও তাদের ধ্বংসাত্মক যুদ্ধের পরিণতির একটি বহিঃপ্রকাশ।’
নেতানিয়াহু যখন সাধারণ পরিষদের মঞ্চে উঠলেন, তখন বেশ কয়েকটি প্রতিনিধিদল ওয়াক আউট করেন। ইচ্ছাকৃতভাবে প্রতিবাদ হিসেবে তারা ওয়াক আউট করেন। ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী ছিলেন দিনের প্রথম বক্তা।
এছাড়া হামাসের রাজনৈতিক ব্যুরোর সদস্য ইজ্জত আল-রিশক বলেন, নেতানিয়াহুকে ঘিরে এখন শুধু একদল চিয়ারলিডার দলই আছে, যারা জাতিসংঘের সভাকক্ষে ঢুকে শুধু গণহত্যার পক্ষে হাততালি দিয়েছে।
এক বিবৃতিতে হামাস নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে ‘মিথ্যা ও স্পষ্টভাবে গণহত্যা, জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুতি ও গাজায় পরিকল্পিতভাবে অনাহার সৃষ্টিকে অস্বীকার’ করার অভিযোগ তোলে— যা তার ও ইসরায়েলি সেনাবাহিনী কর্তৃক সংঘটিত হয়েছে।
ফিলিস্তিনি যোদ্ধাদের হাতে আটক রাখা জিম্মিদের ইঙ্গিত করে হামাস বলেছে, ‘যদি তিনি সত্যিই তার বন্দীদের প্রতি যত্নবান হতেন, তাহলে তিনি গাজার নৃশংস বোমা হামলা, গণহত্যা ও ধ্বংসযজ্ঞ বন্ধ করতেন। কিন্তু এর পরিবর্তে তিনি মিথ্যা কথা বলছেন এবং তাদের জীবন বিপন্ন করে চলেছেন।’
২০২৩ সালের অক্টোবরে হামাসের হামলায় ২৫১ জন জিম্মি করা হয়েছিল, যাদের মধ্যে এখনো ৪৭ জন গাজায় আটক রয়েছেন এবং ইসরাইলি সেনাবাহিনীর মতে, এদের মধ্যে ২৫ জন ইতোমধ্যেই নিহত হয়েছেন।
জাতিসংঘে তার ক্ষুব্ধ ভাষণে নেতানিয়াহু গাজায় ‘গণহত্যা’ এবং ‘অনাহার’ কে কৌশল হিসেবে ব্যবহারের অভিযোগ অস্বীকার করেন।
তিনি একটি স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র গঠনের বিরোধিতাও করেন এবং সম্প্রতি ইউরোপীয় কয়েকটি দেশের এই স্বীকৃতিকে ‘ইসরাইলকে জাতীয় বিপর্যয়ের দিকে ঠেলে দেওয়া’ ও হামাসকে পুরস্কৃত করার সঙ্গে তুলনা করেছেন।
হামাস বলেছে, নেতানিয়াহুর ভাষণ বয়কট করা ‘ফিলিস্তিনি জনগণের আত্মনিয়ন্ত্রণের অধিকার ও একটি স্বাধীন রাষ্ট্র গঠনের পক্ষে বৈশ্বিক সংহতির ক্রমবর্ধমান প্রমাণ।’