এরপর আফগানিস্তানের কাছে সিরিজ হারার পর এশিয়া কাপে শুরু হয় বাংলাদেশ দলের দুঃস্বপ্ন। ২০২৪ সালে পুরো বছরে একমাত্র ওয়ানডে সিরিজ জয় এসেছে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে। আর আফগানিস্তান ও ওয়েস্ট ইন্ডিজের কাছে হার নিয়ে নতুন বছরে প্রবেশ করেছে বাংলাদেশ। ২০২৫ সালের প্রথম ওয়ানডেতে পাকিস্তান শাহীনস দলের কাছে ৭ উইকেটের বড় ব্যবধানে হেরে সেই ব্যর্থতার ধারাবাহিকতাই যেন বজায় রেখেছে টাইগাররা।
এই পরাজয় হয়তো বাংলাদেশের জন্য বাস্তবতার এক নির্মম চিত্র। আইসিসি অ্যাকাডেমি মাঠে উদীয়মান পাকিস্তানের বিপক্ষে বাংলাদেশ অনেক কষ্টে ২০০ রান পার করেছিল। এমন ব্যাটিং পারফরম্যান্স চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির জন্য যথেষ্ট নয়, বিশেষ করে আয়োজক পাকিস্তানের সাম্প্রতিক রান তাড়ার ক্ষমতা দেখলে।
সাম্প্রতিক ত্রিদেশীয় সিরিজে (পাকিস্তান, দক্ষিণ আফ্রিকা, নিউজিল্যান্ড) ৮ ইনিংসের মধ্যে ৫ বার ৩০০ রানের বেশি স্কোর হয়েছে। দক্ষিণ আফ্রিকার ৩০৫ রানের টার্গেট অনায়াসে তাড়া করেছে নিউজিল্যান্ড, আর পাকিস্তানও ৩৫২ রানের বিশাল লক্ষ্য টপকে গেছে। সেখানে বাংলাদেশের প্রস্তুতি ম্যাচে মাত্র ২০২ রানে থেমে যাওয়া চিন্তার বিষয়।
এক ম্যাচ দিয়ে বিশ্লেষণ করা ঠিক না হলেও সাম্প্রতিক পরিসংখ্যান স্বস্তি দেওয়ার মতো নয়। ২০২৪ সালে বাংলাদেশের ৯ ওয়ানডে ইনিংসে ২৫০ রানের বেশি এসেছে মাত্র ৫ বার, আর ২৭০ ছাড়িয়েছে মাত্র ৩ বার। একমাত্র ৩০০-এর বেশি স্কোর করেও হেরেছে বাংলাদেশ।
আজ ও আগামীকাল বিশ্রামের পর বাংলাদেশ মাঠে নামবে ভারতের বিপক্ষে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির প্রথম ম্যাচ খেলতে। প্রস্তুতি ম্যাচে পাকিস্তান শাহীনস দলের উসামা মীর ও আলী রিয়াজরা টাইগার ব্যাটিং লাইনআপকে কঠিন বাস্তবতা বুঝিয়ে দিয়েছেন। তবে বাংলাদেশ বলেই হয়তো সমর্থকরা এখনো ঘুরে দাঁড়ানোর স্বপ্ন দেখছেন।